‘রেশন কেলেঙ্কারি ছোটখাটো! আসল দুর্নীতি তো..’, চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করলেন শুভেন্দু অধিকারী

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি, পুর দুর্নীতির পর বর্তমানে লাইমলাইটে রেশন বন্টন দুর্নীতি (Ration Scam Case)। সম্প্রতি এই মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্ৰী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। আর তৃণমূলের মন্ত্রীমশাই গ্রেফতারির পর থেকেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য, অভিযোগ সামনে আসছে।

এই সব নিয়েই যখন তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি, ঠিক সেই আবহেই তথ্য সমেত নয়া অভিযোগ তুলে বিস্ফোরণ ঘটালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রেশন দুর্নীতির মাঝেই এবার ভুয়ো চাষি নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনলেন শুভেন্দু। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল।

ঠিক কী অভিযোগ নন্দীগ্রাম বিধায়কের? এদিন শুভেন্দু নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কিছু তথ্য সমেত লেখেন, ‘রেশন কেলেঙ্কারি তো হিমশৈলের চূড়া মাত্র। পশ্চিমবঙ্গে আসল দুর্নীতি চলছে ভুয়ো ধান সংগ্রহ করে। যার মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা পাচার হচ্ছে।’ শুভেন্দুর কথায়, “খাদ্য ও সরবরাহ বিভাগ সেই কৃষকদের নাম নথিভুক্ত করছে যারা অনুমিতভাবে ন্যূনতম সমর্থন মূল্যতে (MSP) তাদের ফসল বিক্রি করতে ইচ্ছুক। ২০১৭-১৭ সালে এই নিবন্ধিত কৃষকের সংখ্যা ছিল ৪,৬৪, ৬১৬ জন। আর ২০২১-২২ সালে সংখ্যা বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়ে সেই সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়ায় ২৮,১৫,১০৭ এ; শুধুমাত্র ওই বছরেই ৫,৪৬,৫৯৮ জন কৃষককে নতুনভাবে যুক্ত করা হয়েছে।”

আরও পড়ুন: সিজিওর পিছনের দরজা দিয়ে বালুকে বার করে কোথায় নিয়ে গেল ED? শোরগোল রাজ্যে

অর্থাৎ কোভিডকালে এক ধাক্কায় বিরাট সংখ্যায় এই কৃষকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এই ইস্যুতেই শুভেন্দু লেখেন, ‘আমি এই সব কৃষকদের বিষয়ে বিশদ বিবরণ যাচাই করার জন্য @dir_ed-কে অনুরোধ করতে চাই, কারণ আমার নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলির দ্বারা আমি নিশ্চিত যে তাদের মধ্যে ৬০ % এরও বেশি জাল।’

অর্থাৎ শুভেন্দুর সাফ অভিযোগ, এই কৃষকদের মধ্যে ৬০ শতাংশই ভুয়ো। তার কথায় , ‘যে রাইস মিলগুলি ধান সংগ্রহ করে তারা SKUS-কে অর্থপ্রদান করেছে, যার ফলস্বরূপ সেই টাকা গিয়ে জাল অ্যাকাউন্টে জমা পড়ছে। ‘বিরোধী দলনেতার দাবি, ‘এই SKUS-এর অডিট এবং যেইসব অ্যাকাউন্টগুলিতে টাকা জমা করা হয়েছিল তার ট্যালি করলেই সমস্ত কেলেঙ্কারি সামনে আসবে।’ শুভেন্দু আশঙ্কা, ‘এই কেলেঙ্কারি পরিমাণ এতটাই হবে যা দুর্নীতিগ্রস্ত শাসকদল তৃণমূলের মন্ত্রীদেরও ছাড়িয়ে যাবে।’ শুভেন্দুর বিস্ফোরক অভিযোগের পর আরেক প্রশ্ন উঠে আসছে। তাহলে কী সত্যিই কেঁচো খুঁড়তে কেউটে?

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর