বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে পুর নিয়োগ দুর্নীতির (Municipality Recruitment Scam) হদিস পায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর পরই আদালতের নির্দেশে ময়দানে নামে ইডি (ED), সিবিআই। গত মাসে পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতিতে রাজ্যের একাধিক জায়গায় চলে তল্লাশি। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্রের বাড়িতেও চলে তল্লাশি। একাধিক পুরসভার থেকে নথিও চেয়ে পাঠানো হয়। এরই মধ্যে সেই তালিকায় যুক্ত হল আরও ১০ পুরসভা।
পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে রাজ্যের ১০ পুরসভা নতুন করে ইডির স্ক্যানারে। সূত্রের খবর, কর্মী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে প্রথমে রাজ্যের ৬০-৭০টি পুরসভাকে চিহ্নিত করা হয়। তারপর সেই সব পুরসভার আধিকারিক, চেয়ারম্যান সহ গ্রুপ C ও D কর্মীদের ডেকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেই সব তথ্যের সূত্র ধরেই এই ১০টি পুরসভার নাম উঠে আসে।
প্রাথমিক তদন্তের পর ইডি জানতে পারে এই ১০টি পুরসভায় সর্বাধিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কোন কোন পুরসভায় সর্বাধিক দুর্নীতি হয়েছে সেই তালিকাও সামনে এসেছে। ইডি সূত্রে খবর, দুর্নীতির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কামারহাটি পুরসভা। এরপরই রয়েছে বর্ধমান, নিউ বারাকপুর, বারাকপুর, পানিহাটি পুরসভা।
আরও পড়ুন: একটু পরেই দক্ষিণবঙ্গের ৩ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি! শীত নিয়েও বিরাট আপডেট আবহাওয়া দপ্তরের
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রে দাবি, দুর্নীতির প্রথম সারিতে থাকা পুরসভার মধ্যে অধিকাংশই উত্তর ২৪ পরগনার। এই সকল পুরসভায় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অনেক বেশি কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ইডি সূত্রে খবর বেনিয়মে নিয়োগ হওয়া এই রকম দেড় হাজার কর্মীর খোঁজ তাদের হাতে এসেছে।
ইতিমধ্যেই ইডি পৌরনিগম দফতরের কাছে এই দশটি পৌরসভা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য ফের চেয়ে পাঠিয়েছে। অন্যদিকে এই পুরসভা গুলির বেশিরভাগই উত্তর ২৪ পরগনার হওয়ায় এই পুরসভাগুলিতে রেশন দুর্নীতিতে ধৃত মন্ত্রী তথা তৃণমূল জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকেরও বেশ প্রভাব ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এখনও পুর নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে রেশন দুর্নীতির যোগের কোনও তথ্য সামনে আসেনি।