বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ বিশ্বকাপে (2023 ODI World Cup) অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে ভারতীয় দল (Indian Cricket Team)। ব্যাটিং এবং বোলিংয়ের মধ্যে অসাধারণ সমন্বয় এবং তার পাশাপাশি নিখুঁত ফিল্ডিং তাদেরকে ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গিয়েছে। আর কোনও এক নির্দিষ্ট ক্রিকেটারের ওপর ভর করে নয়, দলগত পারফরম্যান্সে ভর করেই ম্যাচ জিতে চলেছে ভারত। কিন্তু পাকিস্তান (Pakistan) থেকে ভারতের এই জয় ও আনন্দের মুহূর্তগুলো যেন সহ্যই করা যাচ্ছে না।
কিছুদিন আগে পাকিস্তানের হয়ে সামান্য কিছু আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা ক্রিকেটার হাসান রাজা জানিয়েছিলেন যে তিনি মনে করেন ভারতীয় দলকে বোলিংয়ের ক্ষেত্রে আলাদা বল দেওয়া হচ্ছে যার জন্য ভারতের বোলাররা বেশি সুবিধা পাচ্ছেন। এরপর তার নিজের দেশের অনেক মানুষই তার সমালোচনা করেছিলেন।
কিন্তু সেই সমালোচনা থেকে তিনি শিক্ষা নেননি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভারত ২৪৩ রানের ব্যবধানে জয় পাওয়া মাত্র তিনি ফির একবার ভারতের বিরুদ্ধে চিটিং-এর অভিযোগ তোলেন। আর এইবার তিনি যে অভিযোগ তুলেছেন তাতে পুরো টুর্নামেন্টের স্বচ্ছতা নিয়েই প্রশ্ন উঠে যায়।
আরও পড়ুন: সৌরভের ঘরে রোহিতের ভারতের ইতিহাস! প্রোটিয়া বধ করা মাত্র মহারাজের রেকর্ড ছুঁলেন হিটম্যান
তিনি এবার থার্ড আম্পায়ার এবং ডিআরএস সিস্টেমকে ভারতের পক্ষপাতিত্ব করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। তার মূল সমস্যা ফর্মে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার রাসি ভ্যান ডার ডুসেনের এলবিডব্লিউয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে। শামির বলে আউট হন তিনি। মাঠে উপস্থিত আম্পায়ার তাকে নট আউট ভারত রিভিউ নেওয়ার পর দেখা যায় যে বল উইকেটে হিট করছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচালেন কোহলি! বিশ্বকাপে এমন অদ্ভুত কান্ড হয়েছে মাত্র ৩ টি ম্যাচে
DRS is manipulated in favour of India.
~ Hasan Raza pic.twitter.com/7ujOL2P5Wm
— Cricketopia (@CricketopiaCom) November 6, 2023
কিন্তু হাসান রাজা খেলা আদৌ ঠিক ঠাক দেখে কিনা সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেছে কারণ তিনি মন্তব্য করেছেন যে জাদেজা আউট করেছেন ডুসেনকে। তিনি বলেছেন যে খালি চোখে দেখে তিনি সম্পূর্ণ বুঝতে পেরেছিলেন যে বলটি কোনওভাবেই উইকেটে লাগছে না। কিন্তু প্রযুক্তির ব্যবহার করে ভারতীয় দল ধোঁকা দিচ্ছে সকলকে। ২০১১ সালের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে সচিনের নেওয়া সফল রিভিউ নিয়েও প্রশ্ন তুলে দেন তিনি।
সব ‘দায়’ সংবাদ মাধ্যমের! RG Kar কান্ড নিয়ে বিস্ফোরক ফিরহাদ, বললেন…