বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জমি সংক্রান্ত এক মামলায় অবৈধ ভাবে হস্তক্ষেপ করেছেন কলকাতা হাই কোর্টের (HC) এক মহিলা বিচারপতির স্বামী (Calcutta high court judges husband)। সম্প্রতি এমনই অভিযোগে শোরগোল রাজ্যে। সূত্রের খবর, ওই বিচারকের স্বামী পেশায় আইনজীবী। এভাবে ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) গিয়েছেন অভিযোগকারী।
ঘটনাটা কী? জানা যাচ্ছে, একটি পৈতৃক জমি সংক্রান্ত বিষয়ে ৬৪ বছরের এক বিধবা মহিলার সঙ্গে তার কিছু আত্মীয়ের বিরোধ শুরু হয়। ঝামেলার জেরে তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন তার দাদা এবং আত্মীয়রা। সেই ঘটনার প্রমাণও সিসিটিভিতে রয়েছে। এরপরই এই ইস্যুতে আদালতের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা।
নিজের দাদা ও তার কিছু আত্মীয়দের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ফৌজদারি মামলা করেছিলেন বিধবা বৃদ্ধা মহিলা। ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেই মামলায় বিবাদী পক্ষের হয়ে সওয়াল জবাব করছেন ওই বিচারপতির স্বামী। অভিযোগ নিজের প্রভাব খাঁটিয়ে নানাভাবে তদন্তে বাধা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন কলকাতা হাই কোর্টের মহিলা বিচারপতির স্বামী। এমনকি বিচারপতির বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছেন ওই মহিলা ও তার মেয়ে।
এরপরই তারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। যাতে আইনজীবী বা তার বিচারপতি স্ত্রীর প্রভাব ছাড়াই দু’টি ফৌজদারি অভিযোগের যাতে সঠিক ভাবে তদন্ত হয়, সেই জন্য সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানান তারা। এদিকে শীর্ষ আদালতে করা আবেদনে এও জানানো হয়েছে, ওই দুই মামলার প্রাথমিক তদন্তে এক জন অভিযুক্ত গ্রেফতার হওয়ারও হয়েছেন। তবে তার পরও তদন্তে বাধা দেওয়া চেষ্টা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মমতার বিদেশ সফরে কত খরচ? RTI করেও তথ্য না মেলায় এবার আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, আদালতে দেওয়া হলফনামায় জানানো হয়েছে, ওই মামলায় তদন্তে থাকা অফিসারকে ডেকে নাকি এক বার ভর্ৎসনাও করেছেন বিচারপতি। ওই দু’টি দেওয়ানি মামলায় কেন ফৌজদারি মামলার তদন্ত হচ্ছে? এই প্রশ্নও তোলা হয়।
সোমবার সমস্ত বিষয় শুনে এই ফৌজদারি মামলার তদন্তভার সিআইডির (CID) হাতেই রাখল সুপ্রিম কোর্ট৷ সেই সঙ্গে রাজ্য সরকারকেও মুখবন্ধ খামে এই তদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চ৷ পাশাপাশি সিআইডিকে ভয় না পেয়ে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি ডিসেম্বরে।
Made in India