বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন’, সম্প্রতি এই অভিযোগে জর্জরিত ‘জনপ্ৰিয়’ তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। বিতর্কের জল এতটাই গড়িয়েছে যে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর (Trinamool MP Mahua Moitra) সাংসদপদ খারিজের সুপারিশ পর্যন্ত করেছে লোকসভার এথিক্স কমিটি। যা নিয়ে নিয়ে রীতিমতো উত্তাল গোটা দেশ।
এ না হয় রিসেন্ট বিতর্ক। তবে নেত্রীর চাঁচাছোলা চোখা চোখা প্রশ্নবাণে প্রায়শই কিন্তু সরগরম হয়ে ওঠে সংসদ। সর্বদা যুক্তি দিয়ে বিরোধীদের গোল দিতে ওস্তাদ তিনি। বাংলা, হিন্দি, ইংরেজি সব ভাষাতেই সমানভাবে দক্ষ তিনি। জাতীয় স্তরে তৃণমূলের অন্যতম প্রধান মুখ। সর্বদাই চর্চার শিরোনামে।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কৃষ্ণনগর থেকে জয়লাভ করা এই সাংসদ যদিও বর্তমানে জোর বিপাকে। এক শিল্পপতির কাছ থেকে টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তোলার অভিযোগ উঠেছে কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়ার বিরুদ্ধে। যা নিয়ে রীতিমতো তোলপাড়। এ তো গেল রাজনীতির দিক। তবে সাংসদের মোট সম্পত্তির পরিমাণ (Total Assets) কত জানেন?
আরও পড়ুন: জ্যোতিপ্ৰিয় মামলায় এবার মুখ খুলল কমান্ড হাসপাতাল! হাইকোর্টে বিস্ফোরক দাবি, চাপে ED
২০১৯ সালে নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে মহুয়ার উপার্জন ছিল ১ লক্ষ ৯২ হাজার ৬০০ টাকা। এরপর ২০১৪-১৫ তে ছিল ৫ লক্ষ ৩৩ হাজার ৭০ টাকা। এরপরের বছর ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে তা সামান্য বেড়ে হয় ৫ লক্ষ ৩৪ হাজার ৫৩০ টাকা।
এরপর ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর উপার্জনতা ছিল ৮ লক্ষ ৩৭ হাজার ১৫৬ টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে তার উপার্জনের পরিমাণ হয় ৯ লক্ষ ৯৯ হাজার ৯০ টাকা। অন্যদিকে সেই সময় নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা তথ্য অনুযায়ী সেই সময় মহুয়ার হাতে নগদ ছিল ৫ হাজার টাকা। হিরে থেকে সোনা, রুপো সবই রয়েছে মহুয়ার। তবে তার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির কোনো হিসেব হলফনামায় উল্লেখ ছিল না।
দেশ ও বিদেশের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও টাকা রয়েছে মহুয়ার। এ দেশে থাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলির মধ্যে কলকাতার একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রয়েছে তার নামে ১ কোটি ১২ লক্ষ ১২ হাজার ৩৫ টাকা রয়েছে। লন্ডনের ব্যাঙ্কে ১ লক্ষ ৩০ হাজার ৭৮২ টাকা রয়েছে। আর কিছু ছোটখাটো টাকা রয়েছে। সেই সময় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ৬ লক্ষ ৭১ হাজার ১৩৮ টাকা ৪০ পয়সা লোন ছিল মহুয়ার।