বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এক ‘কাকুর’ কণ্ঠস্বর নিয়ে তোলপাড় বাংলা। নিয়োগ দুর্নীতির জট খুলতে ইডির চাই সুজয়কৃষ্ণর (Sujaykrishna Bhadra) কণ্ঠস্বর। যা হাতে পেতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (Enforcement Directorate)। তবে হয়নি সুরাহা। বহুদিন এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন কালীঘাটের কাকু। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে বেজায় অসুস্থ তিনি। ওদিকে কালীঘাটের কাকুর গলার স্বর বদলের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ তুলেছে বাম-বিজেপি (CPM-BJP) উভয়ই। সব মিলিয়ে ঘেঁটে ঘ।
সত্যিই কী কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর বদলানো সম্ভব? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? এক প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী এসএসকেএমের (SSKM) ইএনটি বিভাগের এক বিশেষজ্ঞ এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন। তার কথায়, “হ্যাঁ, গলার স্বর বদল হতে পারে। যদি ভোকাল কর্ডে কোনো টিউমার থাকে এবং তা বাদ দেওয়া হয় তাহলে গলা চেঞ্জ সম্ভব। তবে ভোকাল কর্ডে নর্মাল গলা, যেভাবে কথা বলছি তা বদলানো সম্ভব না”
তিনি আরও জানান, “যদি কখনও ছোটবেলায় কোনও বাচ্চার গলায় বড় টনসিল হয়, তখন তার অপারেশন করলে পরে অনেকে নাকেসুরে কথা বলেন। গলায় কিছু না করলেও অপারেশন করে টনসিল সরিয়ে দেওয়ায় অনেক সময় কণ্ঠস্বর পরিবর্তন হয়ে যায়।”
আরও পড়ুন: কয়লা পাচারকাণ্ডে CBI তদন্ত বন্ধ করতে কী করেছে রাজ্য সরকার? আদালতে বিস্ফোরক কেন্দ্র
আবার যারা গান চৰ্চা করেন বা বেশি কথা বলতে হয় কাজের জন্য তাদের গোলা অনেক সময় পরিবর্তন হয়ে যায়। আসলে ভোকাল কর্ডে বেশি ঘর্ষণ হলে তাতে কড়া পড়ে। সেই কড়া চিকিৎসার মাধ্যমে সরানো হলে কণ্ঠ আগের তুলনায় শ্রুতিমধুর হয়ে যায়। এটাও এক ধরনের পরিবর্তন। এমনটাই জানান বিশেষজ্ঞ।
ওদিকে অপর এক বিশেষজ্ঞর কথায়, “চিকিৎসার মাধ্যমে কোনও ব্যক্তির কণ্ঠস্বরের বদল সম্ভব। অনেক সময়ই অনেকের কণ্ঠস্বরে সমস্যা থাকে। চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার পরিবর্তন সম্ভব। ” এবার সত্যিই যদি বিরোধীদের দাবিতে কোনও সত্যতা থাকে তাহলে এবার শহরের অন্যতম নামী সরকারি হাসপাতালের ভূমিকায় এবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করবে।