বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য্যের ফের ঠিকানা হল জেল। কলকাতা হাইকোর্ট খারিজ করে দিল মানিক ভট্টাচার্য্যের জামিনের আবেদন। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের পর্যবেক্ষণ, এখন যদি মানিক ভট্টাচার্যকে জামিন দেওয়া হয়, তাহলে তার প্রভাব পড়বে ইডির তদন্তে।
এমনকি তার প্রভাব পড়তে পারে সমাজেও। রাতভোর ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর গত বছর ১১ই অক্টোবর ইডির হাতে গ্রেপ্তার হন তৎকালীন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য্য। এখনো পর্যন্ত তিনি রয়েছেন ইডি হেফাজতে। মানিক ভট্টাচার্য্যর আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন হাইকোর্টে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে। তবে বিচারপতি সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন।
আরোও পড়ুন : বাঁচিয়ে দিল পশ্চিমী হাওয়া, নিম্নচাপ নিয়ে সুখবর শোনাল আবহাওয়া দফতর! বড় আপডেট IMD-র
অন্যদিকে, মানিক বাবু আজ নিয়োগ দুর্নীতির যাবতীয় দায় ঠেলে দেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের ঘাড়ে। এরপর মনিক বাবুর আইনজীবীকে বিচারপতি পাল্টা জিজ্ঞাসা করেন, “কীভাবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অনুমতি ছাড়া নিয়োগ করবে? যুক্তিযুক্ত আদৌ কি এটা? মেনে নেওয়া যায়?” এর জবাবে আইনজীবী বলেন, “সম্ভব। পর্ষদ থেকে কোনও দুর্নীতি হয়নি।”
আরোও পড়ুন : এবার মিলবে ফ্রি ইন্টারনেট! বড়সড় ঘোষণা মাস্কের, টেক্কা দিতে রেডি Jio’ও
তাঁর আইনজীবী আজ এজলাসে বলেন, “নিয়োগ প্যানেল তৈরির পর পাঠানো হয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে। নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে গোলমাল হলে তার দায় জেলা শিক্ষা সংসদের। পর্ষদের পক্ষ থেকে পাঠানো হত যাদের, তাদের নেওয়া হয়নি হয়ত। তার বদলে নেওয়া হয়েছে অন্য কাউকে।” মানিক-জায়া শতরূপা ও ছেলে সৌভিকেরও নাম ছিল নিয়োগ দুর্নীতি মামলার চার্জশিটে।
৬ মাস জেলবন্দী থাকার পর জামিন পেয়েছেন মানিক বাবুর স্ত্রী। হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ ১ লক্ষ টাকার বন্ডে শর্তসাপেক্ষে এই জামিন দিয়েছেন। এক্ষেত্রে হাইকোর্ট বলছে, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সাথে যুক্ত নন আবেদনকারী। ইডি প্রমাণ দেখাতে পারেনি যে আবেদনকারী সরাসরি টাকা নিয়েছেন।