বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জ্যোতিপ্ৰিয় মল্লিককে নিয়ে মারাত্মক দাবি ইডির। বৃহস্পতিবার প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্ৰিয় মল্লিককে (Jyotipriya Mallick) ভারচুয়াল শুনানির মাধ্যমে আদালতে পেশ করা হয়। নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়ে বিচারকের সামনে হাতজোড় করে মন্ত্রীর কাতর আর্জি, ‘স্যার, আমি বাঁচতে চাই। আমায় বাঁচতে দিন। আমার শরীর ভালো নেই। হাত-পা কিছুই কাজ করছে না। আমার চিকিৎসার প্রয়োজন আছে।’
যদিও মন্ত্রীর দাবি খারিজ করে ফের তাকে ইডি হেফাজতে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের রিপোর্ট জমা দেন তদন্তকারীরা। বিস্ফোরক দাবি করে রিপোর্টে ইডি (Enforcement Directorates) দাবি করেন, দুর্নীতির কথা সবটাই জানতেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্ৰিয় মল্লিক।
জেল সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে জেলে অসুস্থ হয়ে পড়েন জ্যোতিপ্রিয়। প্রচন্ড কাশি শুরু হয়। শ্বাসকষ্টের সমস্যাও হচ্ছিল মন্ত্রীর। তড়িঘড়ি তাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়। জানা যাচ্ছে পাঁচ মিনিট মত অক্সিজেন দেওয়ার পর তিনি স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরেন। বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে ED-র অ্যাকশন! সিজিওতে পৌঁছলেন ‘সেই’ ব্যক্তি, পরিচয় সামনে আসতেই তোলপাড়
প্রসঙ্গত, গ্রেফতারির পর থেকেই নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়েছেন জ্যোতিপ্ৰিয়। গত ২৭ অক্টোবর গ্রেফতারির পরদিন তাকে নিম্ন আদালতে পেশ করতেই তিনি অসুস্থ হয়ে যান। পরে যদিও টানা চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠেন। গত সপ্তাহে সিজিও থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার বাম হাত ও পা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করেছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। মৃত্যুর কথাও উঠে এসেছিল বনমন্ত্রীর মুখে। এরই মধ্যে গতকাল প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ রিপোর্ট দিয়ে জানান জ্যোতিপ্ৰিয় ‘ফিজিক্যালি আনফিট’ (Physically Unfit)। তাই সশরীরে আদালতেও পেশ করা হয়নি তাকে।
তবে মন্ত্রীমশাই অসুস্থ হলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগের যেন শেষ নেই। সম্প্রতি রেশন দুর্নীতির তদন্তে ইডির হাতে উঠে এসেছে আরেক তথ্য। তদন্তকারীদের দাবি, শুধুমাত্র থানাতেই যে রেশন দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে তেমনটা নয়, জ্যোতিপ্রিয় খাদ্যমন্ত্রী থাকা কালীন তার কাছেও রেশন দুর্নীতি নিয়ে প্রচুর অভিযোগ আসত। ইডির দাবি জেরায় মন্ত্রীমশাই নিজেই এই অভিযোগ স্বীকার করেছেন। নিজেকে সেফ সাইডে রাখতেই থানায় FIR কে ঢাল বানাচ্ছেন জ্যোতিপ্ৰিয়। ইডি সূত্রে দাবি এমনটাই। এই সমস্ত বিষয় এবার সরেজমিনে তদন্ত করে দেখছে ইডি।