বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর থেকে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় রাজ্যের একের পর এক নেতা-মন্ত্রীর ইডির স্ক্যানারে এসেছে। ইতিমধ্যেই ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বহুজনা। দেড় বছর হতে চলল শিক্ষক কেলেঙ্কারি মামলায় গারদবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই মামলাতেই নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। একাধিক বার এজেন্সি জিজ্ঞাসাবাদের মুখেও পড়তে হয়েছে নেতাকে।
আরও পড়ুন: দুর্যোগের ডঙ্কা বাজছে! শনিতেই ৭৫ কিমি বেগে উঠবে ঘূর্ণিঝড়, দক্ষিণবঙ্গের কোথায় কোথায় হাই অ্যালার্ট?
সম্প্রতি নিয়োগের দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে প্রায় ৬ হাজার পাতার নথি জমা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। সেকথা নিজেই জানিয়েছিলেন অভিষেক। সিজিও থেকে বেরিয়ে অভিষেক বলেছিলেন, “৫৫০০-৬০০০ পাতার নথি জমা দিয়েছি। সেসব দেখে যদি ফের ডাকা হয় আমি আসব।”
নথিতেই ক্লু?
এবার সেই নথি খতিয়েই তদন্তে নয়া মোড় আসতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, গত কয়েকদিন ধরে সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি দফতরে বেশ কয়েকজন লো প্রোফাইল ব্যক্তিকে তলব করা হচ্ছে। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। এদের কাছ থেকেই বেশ কিছু অজানা তথ্য উঠে আসতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।
লো প্রোফাইলদের তলব
সূত্রের খবর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৬ হাজার পাতার নথি ঘেটেই বেশ কয়েকজনকে তলব করা হয়েছে। এবার সেই নথির সূত্র ধরে সামনে কোন তথ্য বেরিয়ে আসে সেটাই দেখার। এরপর আর কাদের এই মামলায় তলব করা হতে পারে সেই দিকেও নজর সকলের।
সুপ্রিম ‘ডেডলাইন’
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শেষ করার জন্য ইডি-সিবিআইকে ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে হাইকোর্ট তরফেও ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সমস্ত তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপর থেকেই তদন্তের গতি বাড়িয়েছে এজেন্সি। জোর কদমে চলছে রেশন বন্টন দুর্নীতি ও পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তও।