বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে (Municipality Recruitment Scam) শুরু জোরদার অ্যাকশন। এবার দুর্নীতি হয়েছে সেই তালিকায় থাকা সমস্ত পুরসভার হাজিরা খাতা এবং বায়োমেট্রিক মেশিন ইডির (Enforcement Directorates) স্ক্যানারে। শুধুই মোটা টাকার বিনিময়ে চাকরি হয়েছে তেমনটা নয়, কোনওরকম কাজকর্ম না করে কাজে না গিয়েই মাসের পর মাস বেতন তুলেছেন বহু পুর কর্মচারী, এমনই চঞ্চল্যকর দাবি সামনে এনেছে তদন্তকারী সংস্থা।
টাকা দিয়ে চাকরি কিনেও গড়হাজিরা
ইতিমধ্যেই এই নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ইডি। ইডি সূত্রে খবর রাজ্যের ১০টি পুরসভার হাজিরার বায়োমেট্রিক নথি চাওয়া হয়েছে। কাজ না করেই বেতন তুলেছেন অভিযুক্ত কর্মীরা। ইডির দাবি, টাকার বিনিময়ে চাকরি নিয়েও নিয়মিত দফতরে যাননি অনেক কর্মচারী। কেউ কেউ ১ মাস, তো কেউ ৬ মাস পর্যন্ত কাজ করে ছেড়ে দিয়েছেন, অথচ প্রতি মাসে মোটা বেতন হাতে পেয়েছেন। এবার সেই সব কর্মীদের খোঁজে ইডি।
আরও পড়ুন: হাইপ্রোফাইল হয়েও যন্ত্রনা! জেলে টিভি থাকলেও ম্যাচ দেখতে পারবেন না বালু-পার্থরা, শুরু ঝামেলা
কেঁচো খুঁড়তে কেউটে
প্রসঙ্গত, রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত নেমে কেঁচো খুঁড়তে বেরিয়ে আসে কেউটে। পুরসভায় নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতি হদিশ মেলে। অভিযোগ ওঠে টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়েছে হাজার হাজার চাকরি। এরপরই আদালতের নির্দেশে তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় সংস্থা। শিক্ষক দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় ইডির হাতে ধৃত প্রোমোটার অয়ন শীলের (Ayan Shil) সূত্র ধরেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে তদন্তকারীদের হাতে।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে বিরাট সাফল্য! অযোগ্যদের চাকরির পেছনে কার হাত? জানিয়ে দিল CBI
স্ক্যানারে এই সব পুরসভা
এই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্রের বাড়িতেও চলে তল্লাশি। একাধিক পুরসভার থেকে নথিও চেয়ে পাঠানো হয়। কোন কোন পুরসভায় সর্বাধিক দুর্নীতি হয়েছে সেই তালিকাও সামনে এনেছে ইডি। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, দুর্নীতির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কামারহাটি পুরসভা। এরপরই রয়েছে বর্ধমান, নিউ বারাকপুর, বারাকপুর, পানিহাটি পুরসভা।