বাংলা হান্ট ডেস্ক : বুধবার দিন ধর্মতলায় (Dharmatala) পা রাখছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এর আগেও কলকাতায় সভা সেরেছেন তিনি। তবে সেটা আজ থেকে ৯ বছর আগে। ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর বর্ণাঢ্য সভা করেন অমিত শাহ। যদিও তখন রাজ্য বিজেপির (BJP) শক্তি বলতে কিছু ছিল না। দুই সাংসদ এবং এক বিধায়ক দিয়ে পথ চলা শুরু তাদের। বর্তমানে পরিস্থিতিতে বদল এসেছে।
খুঁটি পুজো করে শুরু প্রস্তুতি
রাজ্যের মূল বিরোধীশক্তি হিসেবে উঠে এসেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। ৭৪ বিধায়ক এবং ১৭ সাংসদ নিয়ে বিধানসভায় বিরোধী আসনে বসেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তাই স্বাভাবিক ভাবেই এবার আরো বড় সভার আয়োজন করার লক্ষ্যে রয়েছে BJP শিবির। মঞ্চ বাঁধার আগে রবিবার সেখানে খুঁটিপূজো হয়। আবার এখানে বসেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানও শোনেন রাজ্যের বিজেপি নেতারা।
আরও পড়ুন : ভাসানে জোরে গান চালানো নিয়ে বচসা, যুবককে কাঁচি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা! বিক্ষোভে উত্তপ্ত চিংড়িঘাটা
বঙ্গে আসছেন অমিত শাহ
লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বড়সড় সভা করতে চলেছে BJP। তাই সেখানে আসছেন অমিত শাহ। সারা রাজ্য জুড়ে প্রচার এবং প্রসার করতে আগেভাগেই পথে নেমেছে বঙ্গ বিজেপি। সেখানে প্রচারের দায়িত্বে রয়েছেন সুকান্ত ছাড়াও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ দলের সাংসদ, বিধায়কেরা।
একুশের মঞ্চেই সমাবেশ BJP-র
BJP প্রথম থেকেই দাবি করে ২১ জুলাই যেখানে তৃণমূল সভা করে সেখানেই মঞ্চ করবে তারা। এজন্য দুবার পুলিশের কাছে আবেদন করলেও নাকচ হয়ে যায় সেই অনুরোধ। অবশেষে আদালতের দ্বারস্থ হয়ে শুক্রবার নাগাদ অনুমোদন পাওয়া যায়। আর শনিবার বিশ্রাম নিয়ে রবিবার থেকেই মঞ্চ প্রস্তুত করতে লেগে যান BJP কর্মীরা। এবারের সভায় নিহত বিজেপি কর্মীদের পরিবারের সদস্যদেরও বসার জায়গা রাখা হয়েছে। এদিকে একইরকম ত্রিস্তরীয় মঞ্চ করার কারণে অনুকরণের অভিযোগ রাজ্যের শাসকদলের।
আরও পড়ুন : ঐশ্বর্য্য ‘জলসা’ ছাড়তেই শুরু সম্পত্তি ভাগ! মেয়ে শ্বেতাকে কোটি টাকার বাংলো লিখে দিলেন অমিতাভ
‘কাকের পিছনে ময়ূরপুচ্ছ…’, কটাক্ষ কুণাল ঘোষের
বিষয়টি নিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘কাকের পিছনে ময়ূরপুচ্ছে গুঁজলেই ময়ূর হয় না। তাই বড় মঞ্চ বানিয়ে কিছু হবে না। জনসমর্থন না থাকলে জনসভা করে কোনও লাভ হয় না। জনসমর্থন রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।’’ তৃণমূল নেতার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিশ্বের বৃহত্তম দল বিজেপি। কোনও আঞ্চলিক দলের অনুকরণের দরকার পড়ে না আমাদের। তারা কী বলছে, তা নিয়েও আমাদের কোনও মাথাব্যথা নেই। তৃণমূল বরং দলের প্রকৃত মালিক নিয়ে নিজেদের মধ্যে গোলমাল মেটাক।’’
এক লক্ষ বঞ্চিত মানুষ হাজির থাকবে সভায়
BJP এর লক্ষ্য রাজ্য এবং কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্প থেকে ‘বঞ্চিত’ এক লক্ষ মানুষকে সভায় হাজির করা। বিষয়টি নিয়ে জগন্নাথ চ্যাটার্জি বলেন, ‘‘আমরা এক লক্ষ জমায়েতের কথা বলেছিলাম। কিন্তু যে ভাবে আমরা বিভিন্ন জেলা থেকে সাড়া পাচ্ছি, তাতে সংখ্যাটা অনেক বেশি হয়ে যাবে।’’ এখানে জানিয়ে রাখি যে, লোক জমায়েত করার জন্য উত্তরবঙ্গ এবং জঙ্গলমহল থেকে লোক আনার জন্য মোট ন’টি ট্রেন ভাড়া করেছে রাজ্য বিজেপি।
আরও পড়ুন : UCO ব্যাঙ্কে ৮২০ কোটি ‘গরমিল’, ১৩৫০০ কোটির অনলাইন জালিয়াতি! কী হবে গ্রাহকদের? বৈঠক ডাকল কেন্দ্র
এছাড়া ধর্মতলা চত্বরে বিভিন্ন জায়গায় ১০টি বড় মাপের বাক্স রাখবে বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানে কম মানুষ কি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত তার লিখিত অভিযোগ জমা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য যে, এর আগে তৃণমূলও একইরকমভাবে অভিযোগ সংগ্রহ করে। আর সেই অভিযোগ দিল্লি নিয়ে যান খোদ অভিষেক ব্যানার্জি।