বাংলা হান্ট ডেস্ক : রাজ্যের রেশন দুর্নীতির (Ration Corruption) চর্চা এখন তুঙ্গে। আর সেই আবহে ওজনে ফাঁকি ধরতে আনা হল ‘ওজন যন্ত্র’ (Weighing Machine)। আগামী ডিসেম্বর থেকেই সমস্ত রেশন দোকানে সক্রিয় করা হবে এই নয়া ওজন যন্ত্র। সূত্র বলছে, ইতিমধ্যেই প্রায় ২০ হাজারের মধ্যে ১৮ হাজার রেশন দোকানে বসানো হয়েছে এই নয়া ওজন যন্ত্র। যার পোশাকি নাম ‘ওয়েয়িং স্কেল’ (Weighing Scale)।
দেদার দুর্নীতি রেশন বণ্টনে
বিগত কয়েক মাসে একাধিক বদল এসেছে রাজ্যের রেশন বিভাগে। শুরু হয়ে গিয়েছে আইরিশ স্ক্যানারে গ্রাহকের পরিচয় যাচাইয়ের কাজ। এখন রেশন তুলতে গেলে বায়োমেট্রিকের প্রয়োজনে আধার কার্ড নম্বর মেলানোর পাশাপাশি হাতের আঙুলের ছাপ মেলানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে খাদ্যদপ্তর। তবে তাতেও থেকে যাচ্ছে ফাঁক। দেদারে দুর্নীতি চলছিল রেশন বণ্টনে।
আনা হল নতুন ওয়েয়িং মেশিন
পাশাপাশি অনেকের আঙুলের ছাপ না মেলায় অনেকেই রেশন তুলতে পারছিলেন না। যারপর চোখের মণি মিলিয়ে দেখার জন্য আইরিশ স্ক্যানার পদ্ধতি আসে রেশন দোকানে। এবং সেইসাথে এটাও জানিয়ে দেওয়া হয় যে, আগামিদিনে ‘ওয়েয়িং স্কেল’-কে সামনে আনার কথা। পুজোর আগেই শুরু হয়ে গেছিল তার প্রস্তুতি। এবার থেকে সমস্ত গ্রাহক যথাযথ রেশন পাচ্ছে কি না তার খবর রাখবে এই ওয়েয়িং স্কেল।
ওজনে কম দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ
এর আগে একাধিকবার রেশন ডিলারদের বিরুদ্ধে ওঠে কারচুপির অভিযোগ। গ্রাহকদের অভিযোগ ছিল, বরাদ্দ অনুযায়ী রেশন মিলছেনা। খাদ্যদপ্তরের পোর্টাল থেকে বরাদ্দের হিসাব দেখিয়ে মাসের প্রথমে ফোন যায় গ্রাহকদের কাছে। সেই সময় অনেকেই অভিযোগ জানায় যে, ওজনে কম মিলছে। তারপর ডিলারদের তরফে জানানো হয়, খাদ্যদপ্তরের পাঠানো রেশনে সামগ্রীর টানাটানি রয়েছে বলে জানিয়েই গ্রাহকদের বরাদ্দের চেয়ে কম পরিমাণে তা দেওয়া হচ্ছে।
কী বলছেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ?
পাশাপাশি ডিলারদের তরফে বলা হয়, সামগ্রী পরিমাণে কম দিয়েও পোর্টালে গ্রাহকের বরাদ্দমতোই তা বিলি হয়েছে। যদিও এই বার্তার পরেও ক্ষোভ থেকেই যায় গ্রাহকদের মনে। আর তাই এবার সরকার এনেছে নতুন ‘ওয়েয়িং স্কেল’। এদিকে ওজনের গরমিল প্রসঙ্গে গ্রাহকদেরকেই দুষেছেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। তিনি বলেন, “গ্রাহকদের অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তাদের উচিত রেশন দোকানে দাঁড়িয়েই তার প্রতিবাদ করা। তার জন্য দপ্তর যা বরাদ্দ করছে, তিনি তার কম নেবেন কেন?”