বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশে (India) প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ রেলপথকে (Indian Railways) ভরসা করেই পৌঁছে যান নিজেদের গন্তব্যে। শুধু তাই নয়, অন্যান্য গণপরিবহণগুলির তুলনায় ট্রেনে চেপে যাতায়াতের ক্ষেত্রে খরচের পরিমাণ অনেকটাই কম হওয়ায় ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে রেলের যাত্রীসংখ্যাও। তবে, ট্রেনে সফর আমরা প্রত্যেকেই করলেও রেল সম্পর্কিত এমন কিছু চমকপ্রদ তথ্য রয়েছে যেগুলি আমরা অনেকেই জানিনা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, গণপরিবহণের পাশাপাশি পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রেও কিন্তু রেলপথের জুড়ি মেলা ভার। সেক্ষেত্রে মালগাড়ির মাধ্যমে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পরিবহণ করা হয় পণ্য। এমতাবস্থায়, আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে, মালগাড়ির একদম শেষে যে কেবিনটি রয়েছে তাতে কেন বিদ্যুৎ কিংবা আলোর ব্যবস্থা থাকে না? মালগাড়িকে আমরা সবাই প্রত্যক্ষ করলেও এই বিষয়টি অধিকাংশজনেরই অজানা। বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা এই প্রসঙ্গ বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করেছি।
আরও পড়ুন: এবার এই কেন্দ্রীয় সংস্থায় চাকরির সুযোগ! জারি হল বিজ্ঞপ্তি, এভাবে করুন আবেদন
কেন মালগাড়ির কেবিনে থাকেনা বিদ্যুৎ এবং আলো:
প্রথমেই জানিয়ে রাখি যে, মালগাড়িতে কর্মরত ম্যানেজারের কাজটি কিন্তু খুব একটা সহজ নয়। এই ট্রেনে তাঁদের ভালোভাবে বসার চেয়ার পর্যন্ত থাকে না। এমনকি কাজ করার জন্য থাকেনা কোনো ধরণের টেবিলও। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ওই কেবিনে বিদ্যুৎ কিংবা পানীয় জলের ব্যবস্থাও উপলব্ধ নেই।
আরও পড়ুন: এবার গৌতম আদানির সাথে হাত মেলালেন অনিল আম্বানি! হয়ে গেল বড় ডিল, জানলে হবেন অবাক
আর এইভাবেই ট্রেন ম্যানেজাররা ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে নিজেদের দায়িত্ব গুরুত্ব সহকারে পালন করে যান। এদিকে, ইতিমধ্যেই রেলমন্ত্রকের তরফে গার্ডের পদের নাম পরিবর্তন করে ট্রেন ম্যানেজার করা হলেও এখনও পর্যন্ত তাঁদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়টিতে নজর দেওয়া হয়নি। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হল, এইভাবেই একজন ম্যানেজার ৮ থেকে ১২ ঘন্টা পর্যন্ত ডিউটি করে যান।
এবারে আসি আসল প্রসঙ্গে। যেহেতু ভারতীয় রেলের নেটওয়ার্ক অত্যন্ত বড় সেহেতু মালগাড়িগুলিকে এমন বহু প্রত্যন্ত জায়গায় যেতে হয় যেখানে বিদ্যুৎ অপ্রতুল থাকে। এইভাবেই গুড গার্ডসের চাকরি বিদ্যুৎ ছাড়াই করা হয়। পাশাপাশি, একটি মালগাড়ি দেখাশোনার জন্যও বিদ্যুতের কোনো ব্যবহার করা হয় না।