বাংলা হান্ট ডেস্ক : উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে (Uttarkashi Tunnel Rescue) আটকে থাকা শ্রমিকদের উদ্ধার করা এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। অন্ধকূপে বন্দি থাকা ৪১ জন শ্রমিকের (41 Labour) সাথে উদ্ধারকারী দলের দূরত্ব আর মাত্র ২ মিটার। এই ২ মিটার পথ খুঁড়তে পারলেই ফের জীবনে ফিরবে ঐ ৪১ জন শ্রমিক। সূত্র বলছে, ইতিমধ্যেই শ্রমিকরা খনন করার শব্দ শুনতে পারছেন। ধড়ে প্রাণ ফিরে পেয়েছেন তারাও।
নেপথ্য নায়ক
গত ১৭ দিন ধরে এই ৪১ জন শ্রমিক যে দুশ্চিন্তায় রয়েছে ঠিক ততটাই দুশ্চিন্তায় রয়েছে উদ্ধারকারী দল। যাদের নিরলস প্রয়াসের পর শ্রমিকরা ফের বেঁচে থাকার মানে খুঁজে পেয়েছে। এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির কর্মীদের মিলিত প্রয়াসের ফল এই সাফল্য। পাশাপাশি এই উদ্ধারকার্যে শামিল হয়েছে বিদেশি বিশেষজ্ঞরাও। চলুন দেখে নিই এই গোটা অভিযানের নেপথ্য নায়কদের।
আইএএস অফিসার নীরজ খয়েরওয়াল
সিল্কিয়ারা টানেল ধসের দুর্ঘটনার নোডাল অফিসারের দায়িত্বে রয়েছেন আইএএস অফিসার নীরজ খয়েরওয়াল। বিগত ১০ দিন ধরে এই উদ্ধারকাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। ঘটনাস্থল থেকে এক চুলও নড়েননি এই কয়দিন। উত্তরাখণ্ড মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সাথে দফায় দফায় আলোচনায় বসেছেন তিনি।
মাইক্রো-টানেলিং বিশেষজ্ঞ ক্রিস কুপার
সুড়ঙ্গ খনন এবং উদ্ধারের বিষয়ে ক্রিস কুপারের অভিজ্ঞতা বেশ লম্বা। তিনি পেশায় একজন চার্টার্ড ইঞ্জিনিয়ার। এবং মেট্রো সুড়ঙ্গ, গুহা, বাঁধ, রেলওয়ে এবং খনির মতো বিভিন্ন নাগরিক কাঠামো সম্পর্কে তার মত দক্ষ এবং অভিজ্ঞ ব্যক্তিত্ব খুব কমই আছেন। উল্লেখ্য, তিনি হলেন ঋষিকেশ-কর্ণপ্রয়াগ রেল প্রকল্পের পরামর্দাতা। গত ১৮ নভেম্বর থেকে ঘটনাস্থলে রয়েছেন তিনি।
অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল সৈয়দ আতা হাসনাইন
পাশাপাশি এই উদ্ধারকার্যের সাথে জড়িয়ে রয়েছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল তথা এনডিএমএ দলের সদস্য সৈয়দ আতা হাসনাইন। মিডিয়ার মাধ্যমে দেশবাসীকে সমস্ত আপডেট তিনিই দিচ্ছেন।
সুড়ঙ্গ বিশেষজ্ঞ আর্নল্ড ডিক্স
উদ্ধারকার্যের একদম প্রথম দিন থেকে যে কয়জন সেখানে উপস্থিত রয়েছেন তার মধ্যে একজন হলেন ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ বিশেষজ্ঞ তথা বৈজ্ঞানিক গবেষক আর্নল্ড ডিক্স। তিনি মূলত অগার যন্ত্রের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। অবাক করা বিষয় হল, মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকদের মঙ্গল কামনায় এবং উদ্ধারকার্যের সাফল্য কামনা করে সুড়ঙ্গের বাইরে স্থাপিত অস্থায়ী মন্দিরে বিশ্বকর্মার পুজোও করেন তিনি।
ব়্যাট-হোল-মাইনিং বিশেষজ্ঞদের দল
এসবের পাশাপাশি যে দলকে বড় ক্রেডিট দিতে হয় তা হল ব়্যাট-হোল-মাইনিং বিশেষজ্ঞদের দল। মার্কিন অগার মেশিন ভেঙে যেতেই ৮০০ মিমি চওড়া পাইপ ঢোকানোর জন্য ব়্যাট-হোল-মাইনিং কৌশলের আশ্রয় নেওয়া হয়। মধ্যপ্রদেশের ছয় ব়্যাট-হোল-মাইনিং বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে শুরু হয় খোদাই। এবং শেষ পর্যন্ত তারাই ৪১ জন শ্রমিককে পৃথিবীর আলোর দিকে টেনে আনবেন।