বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাঙালির কাছে ছুটির অন্যতম প্রিয় ডেস্টিনেশন হল দীঘা। উইকেন্ড এর ছুটি হোক কিংবা দুদিনের অফিস লিভ, পরিবার বা বন্ধু-বান্ধবদের সাথে চোখ বন্ধ করে দীঘা বেরিয়ে পড়তে মন্দ লাগে না। দীঘা মানেই সমুদ্র সৈকতের এক অমোঘ হাতছানি। এমন কোনও বাঙালি খুঁজে পাওয়া মুশকিল যিনি জীবনে অন্তত একবার দীঘা যাননি।
দীঘা ভ্রমণ:
দীঘা হল বাঙালির কাছে অনেকটা মিনি গোয়ার মতো। অসাধারণ সৈকত, তার সাথে জিভে জল আনা সিফুড। সবকিছুর ডাকে বাঙালি বারবার ছুটে যায় সমুদ্র নগরী দীঘাতে। তবে আপনারা জানেন ১০০ টাকারও অনেক কম খরচে সহজেই ঘুরে আসতে পারবেন দীঘা থেকে। বর্তমানে এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেগুলি আমাদের দেখার সাধ থাকলেও, আমাদের পকেট প্রশ্রয় দেয় না।
আরোও পড়ুন : নয়া উদ্যোগ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের! ডিসেম্বরেই ব্যাঙ্কে ঢুকবে ৫০০০ টাকা, কপাল খুলবে আমজনতার
দর্শনীয় স্থান:
তবে দীঘা এমন এক জায়গা যেখানে আপনি গেলে একসাথে অনেক কিছুর আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন। দীঘার সমুদ্র সৈকত সুপরিচিত। এই সমুদ্র নগরীতে সুন্দর একাধিক জায়গা রয়েছে, যেমন ছোট্ট চিড়িয়াখানা ও একাধিক পার্ক। অন্যদিকে সরকারের উদ্যোগে দীঘায় তৈরি হচ্ছে জগন্নাথ দেবের মন্দির। তাই আপনারা চাইলে দীঘায় গিয়ে একসাথে অনেক জায়গায় ভ্রমণের স্বাদ মিটিয়ে নিতে পারেন।
যাতায়াতের খরচ:
আপনারা চাইলে এই শীতকালে পাঁশকুড়া থেকে মাত্র ৩০ টাকার টিকিট কেটে পৌঁছে যেতে পারেন দীঘা। আবার ফেরার সময় ট্রেনের টিকিট লাগবে মাত্র ৩০ টাকা। অর্থাৎ ৬০ টাকার মধ্যে দীঘা যাওয়া-আসা হয়ে যাবে। প্রতিদিন চারটি মেমু ট্রেন পাঁশকুড়া থেকে দীঘা যাতায়াত করে। পাঁশকুড়া থেকে এই ট্রেনগুলি প্রতিদিন ছাড়ে সকাল ৮:৩৫, দুপুর ২:২০, সন্ধে ৬:২০ ও রাত্রি ৭:৪০ মিনিটে।