৩ টি প্রজন্মকে খাইয়েছে দুধ! প্রিয় মহিষের মৃত্যুতে শেষকৃত্যর পর ভোজের আয়োজন শোকস্তব্ধ পরিবারের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: মৃত্যুর (Death) পরে শ্রাদ্ধশান্তি এবং আমন্ত্রণ জানানোর মাধ্যমে খাওয়া-দাওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে আমরা তো সকলেই অবহিত। কিন্তু, এবার গবাদি পশুর মৃত্যুর পরে তার “মৃত্যুভোজ” সম্পন্ন করে নজর গড়ল এক পরিবার। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, হরিয়াণার (Haryana) চরখী গ্রামের একটি পরিবার তাদের পোষ্য মহিষের মৃত্যুর পরে পূর্ণ শ্রদ্ধার সাথে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করে এবং ৪০০ জন ব্যক্তির খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করে।

The family organizes a feast after the last rites on the death of the beloved buffalo

আর এই বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতেই ওই পরিবারটি উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এই প্রসঙ্গে পরিবারের সদস্য সুখবীর জানিয়েছেন যে, তাঁর পরিবারের তিন প্রজন্ম ওই মহিষের দুধ পান করেছে এবং মহিষটি বাড়িতে আসার পর থেকে পরিবারের আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটেছিল। মহিষটির নাম ছিল “লাডলি”।

কি জানা গিয়েছে:

পাশাপাশি, তিনি আরও জানান, ওই মহিষটি তাঁর বাবা রিসাল সিংয়ের সময়ে বাড়িতে জন্মেছিল। প্রায় ২৯ বছর বয়সে মহিষটি মারা যায়। তাঁরা মহিষটিকে পরিবারের একজন সদস্য বলে মনে করতেন। পাশাপাশি, সে পরিবারের জন্যও শুভ ছিল বলে বিশ্বাস তাঁদের। সুখবীরের মতে, মহিষটি পরিবারকে ধনী করেছে এবং এখন তার মৃত্যুর পর পরিবারটি তার শেষকৃত্য ভালোভাবে সম্পন্ন করে তার ঋণ পরিশোধ করেছে।

আরও পড়ুন: আজই পৃথিবীতে আছড়ে পড়বে ভয়ঙ্কর সৌর ঝড়, প্রভাবিত হবে ইন্টারনেট পরিষেবা, সতর্ক করলেন বিজ্ঞানীরা

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, চরখী গ্রামের অধিকাংশ পরিবারেরই আয়ের একমাত্র পথ হল কৃষিকাজ এবং গোপালন। এদিকে, লাডলি ২৪ টি শাবকের জন্ম দেয় বলেও জানা গিয়েছে। তার মৃত্যুর পরে শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের জন্য গ্রামবাসীদের আমন্ত্রণ জানান ওই পরিবার। পাশাপাশি ওই অনুষ্ঠান স্থলে ঢোকার সামনে ওই মহিষের মালা পরানো ছবি রাখা হয়। তারপরেই থাকে খাবারের স্টল।

আরও পড়ুন: পকেটে পড়বে টান! নতুন বছরেই লাফিয়ে দাম বাড়ছে গাড়ির, জানিয়ে দিল মারুতি-টাটা-মাহিন্দ্রা

জানা গিয়েছে ফুচকা, পুরি-সবজি, স্যালাড, রায়তা, লাড্ডু, জিলিপি, গোলাপ জামের মতো খাবার ছিল আমন্ত্রিতদের জন্য। আর এই ভাবেই “লাডলি”-র শেষকৃত্য মহাসমারোহে সম্পন্ন করে ওই পরিবার।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর