বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতের পরিবহন ব্যবস্থার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম হল রেল ব্যবস্থা। ভারতীয় রেলের সাহায্যে আজ আমরা মুহূর্তে যে কোনও জায়গায় পৌঁছে যেতে পারি অত্যন্ত সুলভ মূল্যে। লোকাল ট্রেনের পাশাপাশি রয়েছে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন যেগুলি যাত্রীদের এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে নিয়ে যায়।
রেলের খাবার খেয়েই বিপত্তি :
তবে দূরপাল্লার ট্রেনে অনেক সময় যাত্রীদের নানান অভিযোগ থাকে রেলের পরিষেবা নিয়ে। রেলের তরফ থেকে এই অভিযোগগুলি গুরুত্ব সহকারে অনেক সময় সমাধানও করা হয়। তবে এবার রেলের খাবার খেয়ে ৯০ জন যাত্রীর অসুস্থ হয়ে পড়ার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠল। মহারাষ্ট্রের পুনে রেলওয়ে স্টেশনে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই অসুস্থ যাত্রীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
আরোও পড়ুন : পুজোয় ত্রুটি, ঝুঁকে পড়েছিল সাঁইথিয়ার বড় মায়ের মূর্তি! দলিত বরণ করতেই ঘটে গেল অলৌকিক ঘটনা
ঠিক কী ঘটেছিল?
সূত্রের খবর, একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে বুক করা হয় চেন্নাই-পালিটানাগামী ‘ভারত গৌরব’ বিশেষ ট্রেনটি। এই গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে যাওয়া হচ্ছিল একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে। সেই জন্য গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে এই বিশেষ ট্রেন বুক করা হয়। ট্রেনে সফর করার সময় যাত্রীরা ব্যক্তিগতভাবে সংগ্রহ করেন খাবার। যদি ওই খাবার যাত্রীরা তৈরি করেছিলেন ট্রেনের প্যান্ট্রি কারে।
আরোও পড়ুন : বোমা মেরে পর পর ১৫টি স্কুল উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি! শহরজুড়ে চাঞ্চল্য, শুরু খানাতল্লাশি
রেল আধিকারিকের বক্তব্য:
রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “একটি কোচের প্রায় ৯০ জন যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। সোলাপুর ও পুনের মধ্যে যাত্রীরা বমি ভাব ও মাথা ব্যথা অনুভব করেন। জানা যায় এই যাত্রীরা প্যান্ট্রি কারে তৈরি খাবার খেয়েছিলেন। এই খাবারে বিষক্রিয়ার ফলে যাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই খাবারগুলি আইআরসিটিসির পক্ষ থেকে সরবরাহ করা হয়নি।”
সেন্ট্রাল রেলওয়ের প্রধান জনসংযোগ আধিকারিকের মতামত:
সেন্ট্রাল রেলওয়ের প্রধান জনসংযোগ আধিকারিক ডাঃ শিবরাজ মানসপুরে বলেছেন, “যাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়ার পর তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় পুনে স্টেশনে। চিকিৎসার পর যাত্রীরা খানিকটা স্থিতিশীল হন। এরপর ৫০ মিনিট দেরিতে সেই ট্রেন রওনা করিয়ে দেওয়া হয়।” রেল সূত্রে খবর খাদ্যে বিষক্রিয়ার জেরেই এই অসুস্থতার ঘটনা ঘটেছে।