বাংলাহান্ট ডেস্ক : ঘুরতে যাওয়ার কথা বললেই বাঙালির মন লাফিয়ে ওঠে আনন্দে। কথাতেই বলে বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে। হাতে কয়েকদিনে ছুটি হোক কিংবা উইকেন্ড, বাড়িতে বসে থাকতে কারই বা ভালো লাগে? তাই সবাই কয়েকটা দিন নিরিবিলিতে কাটানোর জন্য ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন। ডিসেম্বর মাস এসে গেছে।
ডিসেম্বর মানে মিঠে রোদ গায়ে মেখে আপন মনে কয়েকটা দিন কোথাও থেকে ঘুরে আসা। শীতকালের আবহাওয়া এতটাই মনোরম থাকে যে এই সময়টাকে ঘুরতে যেতে বিশেষ কষ্ট হয় না। সঙ্গে করে কিছু গরম জামা কাপড় নিলেই আরামসে কিছুদিনের ছুটি কাটি আসা যায়। তবে ঘুরতে যাওয়ার কথা বললেই আমাদের মনে প্রথম যে নামগুলি আসে সেগুলি হল দীঘা, পুরী বা দার্জিলিং।
আরোও পড়ুন : ২২ বিলিয়ন থেকে ৩ বিলিয়ন ডলারের কমে নামল ভ্যালুয়েশন! করুণ অবস্থা Byju’s-এর
বাঁকুড়ার বিহারীনাথ পাহাড়:
তবে অনেকেই সব সময় কিছু নতুন জায়গার সন্ধানে থাকেন। এমন অনেক জায়গা রয়েছে আমাদের পশ্চিমবঙ্গে যেগুলি অনেকের অজানা। আজ তেমনই একটি জায়গা বিহারীনাথ পাহাড় (Biharinath Hill) সম্পর্কে আপনাদের জানাতে চলেছি। বাঁকুড়ায় (Bankura) অবস্থিত এই বিহারীনাথ পাহাড়। এটি বাঁকুড়ার সর্বোচ্চ উঁচু পাহাড়। ৪৫১ মিটার উঁচু এই পাহাড় দর্শকদের মন আকর্ষণ করে।
আরোও পড়ুন : শীতের পথে কাঁটা ঘূর্ণিঝড়! বজ্রবিদ্যুৎ-সহ তুমুল বৃষ্টিতে ভাসবে দক্ষিণবঙ্গ: আজকের আবহাওয়া
বিহারীনাথ পাহাড়ের বৈশিষ্ট্য:
বাঁকুড়া শহর থেকে ৫৭ কিলোমিটার ও শালতোড়া শহর থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই বিহারীনাথ পাহাড়। অনেকে এই পাহাড়টির তুলনা করে থাকেন আরাকু ভ্যালির (Araku Valley) সাথে। যারা জঙ্গলের পরিবেশ ভালোবাসেন তাদের কাছে এই জায়গাটি আদর্শ। জঙ্গলে ঘেরা পাহাড় প্রকৃতি প্রেমীদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে এখানে। বিহারীনাথ মন্দির অবস্থিত এই পাহাড়ের পাদদেশে।
পারিপার্শ্বিক পরিবেশ:
এই পাহাড় ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ পুরাতাত্ত্বিক দিক থেকেও। এখানকার মন্দিরে যে শিব রয়েছেন তাঁর নাম বিহারীনাথ। শিবের নামে এখানকার পাহাড়ের নামকরণ করা হয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত আদিবাসীদের গ্রাম। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মাদলের বোল এখানকার পরিবেশে এক অন্য মাত্রা যুক্ত করেছে।