বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ডিএ (DA) ইস্যুতে বহুদিন ধরে উত্তাল রাজ্য। একদিকে নিজেদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা আদায়ের দাবিতে মাসের পর মাস আন্দোলন চালাচ্ছেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। অন্যদিকে ‘ডিএ মৌলিক অধিকার নয়, সরকারের ঐচ্ছিক বিষয়’, নিজের এই দাবিতে অনড় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তবে এই টালবাহানার মাঝেই এবার ডিএ নিয়ে বড় খবর সামনে এল।
মহার্ঘ ভাতা সরকারের ঐচ্ছিক বিষয়, মমতার এই মন্তব্যের পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে সরকারি কর্মীরা। তাদের দাবি কলকাতা হাইকোর্ট অনেকে আগেই বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। যার পাল্টা রাজ্য সরকার SPL দায়ের করেছে। সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি এখনও বিচারাধীন। তাহলে এই সময় মুখ্যমন্ত্রী কিভাবে এই মন্তব্য করতে পারেন!
এসব নিয়ে যখন সংঘাত চলছে সেই সময় ডিএ নিয়ে নতুন তথ্য সামনে আনলেন বিরোধী দোলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু বলেন, ‘যেখানে কেন্দ্রের সরকারি কর্মীরা ৪৬ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন। সেখানে এ রাজ্যের সরকারি কর্মীরা কিছুই পাচ্ছেন না। দিনের পর দিন ন্যায্য পাওনার দাবিতে সরকারি কর্মচারীরা আন্দোলন চালাচ্ছেন। রাজ্য পুলিশও ডিএ পাচ্ছে না। একজন কনস্টেবলের মাসিক বেতন ২০ হাজার টাকারও কম।’
তার কথায়, ‘রাজ্য সরকারি কর্মীরা প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকারও কম বেতন পাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী সরকারি কর্মীদের ডিএ নিয়ে যে তথ্য দিয়েছেন তা মিথ্যে। সত্যিই কি বিরোধী দলনেতার অভিযোগ সত্য? চলুন হিসেব কষে দেখে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন: ‘কোনও লিমিট নেই, তাই ওই…’, নীল-সাদা রং নিয়ে এত দিনে মুখ খুললেন মমতা
যদি ২০১৬ সালের হিসেব দেখা যায় তাহলে সেই সময় কোনও গ্রুপ ডি-র কর্মীর এন্ট্রি পয়েন্ট ছিল ১৭ হাজার টাকা। ইনক্রিমেন্ট হয়ে ২০২২ সালে সেই বেতন হয়ে ২১ হাজার টাকা। সেই সময় AICPI অনুযায়ী রাজ্য সরকারি কর্মীদের সঙ্গে ডিএ-র ফারাক ৩৬ শতাংশ৷ শতাংশের হিসেবে বছরের শেষে গিয়ে তাহলে ৯০ হাজার ৭২০ টাকা কম পাচ্ছেন গ্রুপ ডি-র কর্মীরা।
একই ভাবে সেই সময় কোনও গ্রুপ সি কর্মীর এন্ট্রি পয়েন্ট ছিল ২২ হাজার ৭০০ টাকা। ইনক্রিমেন্ট হয়ে ২০২২ সালে সেই বেতন হয় ২৭ হাজার ১০০ টাকা। ডিএ-র ৩৬ শতাংশ ফারাক হয়ে বছরের শেষে ১ লাখ ১৭ হাজার টাকা কম পাচ্ছেন তারা। আপার ডিভিশন ক্লাকদের ক্ষেত্রে এই হিসেব কোষলে দেখা যাবে বার্ষিক ১ লাখ ৪৯ হাজার টাকা কম পাচ্ছেন তারা।