বাংলা হান্ট ডেস্ক : প্রেম পর্ব শেষ হলেই প্রেমিক প্রেমিকার কাছে যৌতুকের জন্য দাবি করেন। যা দিতে না পারায় প্রেমিক বিয়ে করতে অস্বীকার করেছিল। যৌতুকের তালিকায় ছিল একাধিক দামি জিনিসপত্র সোনা, জমি এবং বিএমডাব্লিউ গাড়ি , তবে পরিবারের সদস্যরা এই দাবি পূরণ করতে পারেননি। তিরুবন্তপুরমের একজন ২৮ বছর বয়সী চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন।
শাহানা তিরুবনন্তপুরম মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগে পিজি এর ছাত্রী ছিলেন। তার একটি সুইসাইড নোট পেয়েছে পুলিশ। যে শাহানা তার পরিবারের কাছে যৌতুক ও সম্পত্তি দাবি করেছিল। প্রেমিকের বিরুদ্ধে মামলা জারি করা হয়েছে। নিহতের বাবা কিছুদিন আগে মারা গেছেন। ৫ ডিসেম্বর কলেজের পাশে একটি ভাড়া বাসায় তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
অভিযুক্ত চিকিৎসক: এই কলেজের একজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। কারণ যৌতুকের জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ করেছেন স্বজনেরা। জানাগেছে অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম ইএ রুওয়াইস এবং তিনি কেরালা মেডিকেলের পোস্ট গ্রাজুয়েট অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি ছিলেন।
মৃত শাহানা ও তার প্রেমী রুওয়াইস বন্ধু ছিলেন এবং তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিরুবনন্তপুরমের ভেঞ্জারমুডুতে বসবাসকারী শাহানার পরিবার যৌতুক দিতে সক্ষম না হলে, অভিযুক্তরা তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে।
তদন্ত এবং ন্যায়বিচার: কেরালার (Kerala) স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ মহিলা ও শিশু উন্নয়ন দফতরকে তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও কেরালা মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন এবং আইনজীবী দেখা করেছেন শাহানার মা সতী দেবীর সাথে এবং বিষয়টি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। পুলিশের কাছে তদন্তের গতিবিধি চেয়েছেন।