শাসকদলের সাংসদের বাড়ি থেকে উদ্ধার টাকার পাহাড়! গুনতে গিয়ে খারাপ হয়ে গেল মেশিন

বাংলা হান্ট ডেস্ক : গত বুধবারই আয়কর দফতর হানা দেয় ঝাড়খণ্ডের রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদ ধীরজ প্রসাদ সাহুর বাড়িতে। রাঁচি, লোহারদাগা এবং ওড়িশার পাঁচটিরও বেশি জায়গায় রেইড শুরু করেছে ইনকাম ট্যাক্সের কর্মকর্তারা (Income Tax Department)। সেখানেই এক আলমারি থেকে উদ্ধার করা হল টাকার পাহাড়। আর তারপরের ঘটনায় চক্ষু চড়ক গাছে ওঠার অবস্থা আয়কর কর্তাদেরও।

এইদিন খানাতল্লাশির সময় কংগ্রেস সাংসদের এক অফিসের আলমারি খোলার পর রীতিমত ভিরমি খাওয়ার জোগাড় হয় আয়কর কর্তাদের। আলমারি খুলতেই চোখে পড়ে কেবল থরে থরে সাজানো টাকার বান্ডিল। কোনটা ৫০০ টাকার তো কোনোটা আবার ২০০ টাকার। এরপরেই টাকা গুনতে নিয়ে আসা হয় টাকা গোনার মেশিন। আর তাতেই ঘটে আরেক বিপত্তি।

টাকার পরিমাণ এতই বেশি যে তা গুনতে গিয়ে মানুষ তো হয়রান বটেই সেই সাথে হয়রান হয়ে পড়ে মেশিনটিও। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি যে, টাকা গুনতে গুনতে বিকল হয়ে যায় মেশিনটিও। আয়কর কর্তারা পড়েন আরেক বিড়ম্বনায়। বাধ্য হয়ে নিয়ে আসা হয় নতুন টাকা গোনার মেশিন। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত প্রায় ২০০ কোটির মত টাকা গোনা হয়েছে।

আরও পড়ুন : বিয়ের মরশুমে বড় খবর! সোনার দামে বিরাট পতন, সস্তা হল রুপো! জানুন আজ কততে বিক্রি হচ্ছে হলুদ ধাতু

গত বুধবার তল্লাশি শুরুর পর বৃহস্পতিবারও শুরু হয় টাকা গোনা। এবং আজ শুক্রবার শেষ হতে চললেও এখনও অনেক টাকা গোনা বাকি রয়েছে। ওড়িশার আয়কর দফতরের খবর, মোট টাকার পরিমান কয়েকশো কোটি হতে পারে। এই ঘটনার পরপরই ধীরজ প্রসাদ সাহুর গ্রেফতারির দাবি করে সরব হয়ে উঠেছে বিজেপি। ঘটনাপ্রসঙ্গে টুইট করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

আরও পড়ুন : বাংলা হান্টের খবরে সিলমোহর! খারিজ মহুয়া মৈত্রর সাংসদ পদ, বড় ধাক্কা তৃণমূলে

dhiraj sahu with rahul gandhi

এইদিন প্রধানমন্ত্রী তার পোস্টে একটি হাসির ইমোজিও যুক্ত করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘দেশবাসীর উচিত এই নোটের স্তূপের দিকে নজর দেওয়া এবং তারপর তাদের নেতাদের সৎ ‘বক্তৃতা’ শোনা। জনগণের কাছ থেকে যা লুট করা হয়েছে, প্রতিটি পয়সা ফেরত দিতে হবে, এটাই মোদীর গ্যারান্টি।’ এদিকে দীপক প্রধান টুইট করেছেন, ‘কংগ্রেসের এক সাংসদের কাছ থেকে যদি এত টাকা পাওয়া যায় তাহলে ৭০ সালে এই দল দেশকে কীভাবে লুট করেছে তার ধারণা করা কঠিন নয়।’

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর