বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে যুগের সাথে পাল্লা দিয়ে এবং পেট্রোলের উচ্চমূল্যের কারণে অনেকেই বৈদ্যুতিক যানবাহনের (Electric Vehicles) প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। এমতাবস্থায়, হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে ইলেকট্রিক স্কুটার (Electric Scooter) ব্যবহারকারীর সংখ্যাও। এদিকে, বিপুল চাহিদা পরিলক্ষিত করে দুর্ধর্ষ সব ফিচার্সের ইলেকট্রিক স্কুটার বাজারে আনছে সংস্থাগুলি। এমন পরিস্থিতিতে, আপনিও যদি এখন ইলেকট্রিক স্কুটার কেনার পরিকল্পনা করে থাকেন সেক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে আপনাকে মাথায় রাখতে হবে। নাহলে পরবর্তীকালে পড়তে হতে পারে সমস্যায়। বর্তমান প্রতিবেদনে এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করা হল।
বাজারে উপলব্ধ রয়েছে বহু বিকল্প: ইতিমধ্যেই, বহু কোম্পানি ভারতীয় বাজারে ইলেকট্রিক স্কুটার সেগমেন্টে তাদের স্কুটার উপলব্ধ করেছে। এই স্কুটারগুলি বিভিন্ন রেঞ্জ এবং ফিচার্স অনুসারে নানান দামের সাথে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে, নতুন বৈদ্যুতিক স্কুটার কেনার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রাখা খুবই জরুরি হয়ে পড়ে।
রেঞ্জ: একটি বৈদ্যুতিক স্কুটার কেনার সময়ে সেটি একবার চার্জে কত দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। বিভিন্ন মডেলের ক্ষেত্রে ড্রাইভিং রেঞ্জ পরিবর্তিত হয়। যা ৬০ কিমি থেকে ১৫০ কিমি পর্যন্ত হতে পারে। এর পাশাপাশি, স্পোর্ট মোড এবং ইকো মোড এগুলিও উপলব্ধ রয়েছে। প্রতিটি মোডের পারফরম্যান্সেও পার্থক্য রয়েছে।
পিক-আপ: আপনি যে স্কুটারটি কেনার পরিকল্পনা করছেন তার পিক-আপের বিষয়টিও মাথায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। ইলেকট্রিক যানবাহনের মোটরগুলি দ্রুত টর্ক অর্জন করে। যার কারণে সেগুলি দ্রুত চলতে থাকে। এদিকে, কিছু স্কুটার কোম্পানি দাবি করে যে, তাদের স্কুটার মাত্র ৩.৯ সেকেন্ডে শূন্য থেকে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টার গতি তুলতে পারে।
আরও পড়ুন: বছরের শেষে ফুল ফর্মে আদানি! এই কোম্পানি কেনার জন্য বাজি রাখলেন ৪,১০০ কোটি
চার্জ হতে কত সময় লাগে: ইলেকট্রিক স্কুটারের ক্ষেত্রে চার্জিংয়ের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমন পরিস্থিতিতে, স্কুটারের ব্যাটারি পুরোপুরি চার্জ হতে কত সময় লাগে তা জানা জরুরি। এর পাশাপাশি, ওই স্কুটারে ফাস্ট চার্জিংয়ের সুবিধা আছে কি না তাও জেনে রাখা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: বড় খবর! এবার বাতিল হবে এই সার্টিফিকেট, জানাল পশ্চিমবঙ্গ সরকার, সতর্ক না হলেই পড়বেন দুর্ভোগে
ওয়ারেন্টি কত: যেকোনো বৈদ্যুতিক স্কুটারের ক্ষেত্রেই কোম্পানিগুলি ব্যাটারি এবং মোটরের উপর ওয়ারেন্টি প্রদান করে। এমন পরিস্থিতিতে কোন কোম্পানির স্কুটারে কত ওয়ারেন্টি আছে সেটি জানা দরকার। শুধু তাই নয়, যে কোম্পানি বেশি ওয়ারেন্টি উপলব্ধ করে সেই কোম্পানির কাছ থেকে স্কুটার কেনা লাভজনক প্রমাণিত হবে।