বাংলা হান্ট ডেস্ক: ISRO (Indian Space Research Organisation)-র হাত ধরে ইতিমধ্যেই সফলভাবে চাঁদের মাটি স্পর্শ করে ইতিহাস তৈরি করেছে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)। যার ওপর ভর করে নয়া নজির তৈরি করেছে ভারতও। এছাড়াও, সূর্যের ওপর নজরদারি চালাতে পাড়ি দিয়েছে সৌরযান Aditya-L1। তবে, এবার ISRO ঘোষণা করল বড় চমক। ইতিমধ্যেই, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে ২০৪০ সাল নাগাদ ভারতীয় মহাকাশচারীরা চাঁদের বুকে পা রাখবেন
এই প্রসঙ্গটি সামনে এনেছেন স্বয়ং ISRO চেয়ারম্যান এস সোমনাথ। তিনি জানান, দু’-থেকে তিন জন মহাকাশচারীকে প্রথমে চাঁদের কক্ষপথের নিম্নভাগে পাঠানো হবে। তাঁরা সেখানে দু’-তিন দিন থাকবেন এবং তারপরেই তাঁদেরকে নিরাপদে ভারতের সাগরের বুকে নামিয়ে আনা হবে। পাশাপাশি, এই মিশনের জন্য ইতিমধ্যেই ভারতীয় বায়ুসেনার চার পাইলটকে বেছে নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ISRO প্রধান।
এক্ষেত্রে, ISRO-র তরফে ওই চারজনকে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর প্রথম অভিযানের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, তাঁরা বর্তমানে প্রশিক্ষণের মধ্যেও রয়েছেন। জানা গিয়েছে, তাঁরা বেঙ্গালুরুর অ্যাস্ট্রোনট ট্রেনিং ফেসিলিটিতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। এদিকে, সোমনাথ আরও জানিয়েছেন, “ISRO গগনযান অভিযানের মাধ্যমে মহাকাশ গবেষণার জগতে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। লক্ষ্য অনুযায়ী, পৃথিবীর কক্ষপথের নিম্নভাগে প্রথমে দুই-তিন মহাকাশচারীকে পাঠানো হবে। তিনদিন পর পূর্বনির্ধারিত স্থানে তাঁদের নিরাপদে ভারতীয় জলভাগের ওপর নামিয়ে আনা হবে।”
আরও পড়ুন: চিনে নিন ভারতের ৫ কোটিপতি কৃষককে! তাঁদের উপার্জন চমকে দেবে আম্বানি-আদানিকেও
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এই মিশনে LVM3 লঞ্চ ভেহিক্যালের ওপর একটি অরবিটাল মডিউল থাকবে। আর সেটিতে চেপেই ভারতীয় মহাকাশচারীরা রওনা দেবেন। এমতাবস্থায়, লঞ্চ ভেহিক্যালটি যাতে নিরাপদে সকলকে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারে, সেই বিষয়টিও সুনিশ্চিত করা হচ্ছে। এছাড়াও, অরবিটাল মডিউলটিতে একটি ক্রু মডিউল এবং একটি সার্ভিস মডিউলও থাকবে। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমের পাশাপাশি মহাশূন্যে ভারতীয় মহাকাশচারীদের প্রয়োজনীয় সব কিছুই সেখানে থাকবে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, ওই ক্রু মডিউলটির ভিতরের পরিবেশ হবে পৃথিবীর মতোই। যার ফলে সেটিতে চেপে নিরাপদে মহাকাশচারীরা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করতে পারবেন। পাশাপাশি, রয়েছে একটি ক্রু এসকেপ সিস্টেমও। কোনো বিপদের আশঙ্কা থাকলে সেটিতে চেপেই নেমে আসতে পারবেন ভারতীয় মহাকাশচারীরা। জানা গিয়েছে যে, মূল অভিযানের আগে এমন দু’টি অভিযান হবে। যদিও, সেখানে কোনো মহাকাশচারী থাকবেন না। তার মধ্যে একটি হল ইন্টেগ্রেটেড এয়ার ড্রপ টেস্ট এবং আরেকটি হল প্যাড অ্যাবর্ট টেস্ট।