বাংলা হান্ট ডেস্ক : ভুটান (Bhutan) ও বাংলাদশের (Bangladesh) সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে জয়গাঁও এবং চ্যাংড়াবান্ধা (Changrabandha) স্থলবন্দরের উন্নয়নের কাজে হাত দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)। আর তারপর থেকেই তরজা শুরু হয়েছে রাজ্য আর কেন্দ্রের মধ্যে। সম্প্রসারণের জন্য প্রয়োজনীয় জমি নিয়ে বিবাদ শুরু হয়েছে রাজ্য আর কেন্দ্রের মধ্যে। জমি মিলছে না বলে অভিযোগ তুলেছে দিল্লি। তবে এবার বোধহয় সেই সমস্যা মিটল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দু’টি বন্দরের উন্নয়নের জন্য প্রায় ২০০ একর জমি দরকার, যা নিয়ে এতদিন কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের আলোচনা চলছিল। আর এবার প্রকল্পের জন্য জমি বরাদ্দ করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। গত রবিবার এই নিয়ে সরকার ও জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের সাথে এক বৈঠকেও বসেছিলেন মুখ্য সচিব এইচ কে দ্বিবেদী।
এইদিন তিনি জানিয়েছেন যে, প্রকল্পটি ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এলপিএআই) এর সহযোগিতায় কার্যকর করা হবে। এইচ কে দ্বিবেদীর কথায়, ‘চ্যাংড়াবান্ধা দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাড়ছে। বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে রাজ্য মন্ত্রিসভা স্থলবন্দরে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। ৩০ একর একটি প্লট চিহ্নিত করা হয়েছে এবং প্রকল্পটি এলপিএআই-এর সহযোগিতায় বাস্তবায়িত হবে। স্থলবন্দরের পাশে, আমরা একটি ট্রাক টার্মিনাসও তৈরি করব।’
এইদিন তিনি আরও বলেন, কোচবিহারের বিমান পরিষেবাকে আরও উন্নত করে তোলার জন্য সরকার বিমান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছে। ইতিমধ্যেই রানওয়ে সম্প্রসারণের জন্য একটি যৌথ সমীক্ষাও চালিয়েছে। উল্লেখ্য, এইমুহুর্তে কোচবিহার বিমান বন্দর থেকে নয় সিটের ফ্লাইট ওড়ে। তবে পরিকল্পনা রয়েছে, ২৬ বা ৪০ সিটের বিমান ওড়ানোর।
সেইসাথে উত্তরবঙ্গে অনুষ্ঠিতব্য ব্যবসায়িক শীর্ষ সম্মেলনের কথাও উল্লেখ করেন দ্বিবেদী। মুখ্য সচিবের কথায়, কোচবিহারের অনেক উদ্যোক্তা, যারা MSME সেক্টরে বিনিয়োগ করতে চান, তারাও বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। মেখলিগঞ্জে, আমরা প্রায় ৪০০ একর জমি চিহ্নিত করেছি যেখানে একটি শিল্প কমপ্লেক্স তৈরি করা হবে।