বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বহুদিন ধরে ডিএ (DA) ইস্যুতে উত্তাল রাজ্য। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৪৬ শতাংশ হারে ডিএ (Dearness Allowance) পাচ্ছেন। ওদিকে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা পাচ্ছেন মাত্র ৬ শতাংশ। কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে দীর্ঘদিন যাবৎ আন্দোলন চালাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। ডিএ নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতে চলছে মামলা। তবে সুপ্রিম কোর্টে বারংবার পিছিয়ে যাচ্ছে ডিএ মামলার শুনানি। সেই নিয়ে হতাশ হয়ে পড়ছেন আন্দোলনকারীদের একাংশ। এরই মধ্যে সামনে বিরাট আপডেট।
সম্প্রতি এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Benerjee) সঙ্গে ডিএ নিয়ে বৈঠকের আবেদন জানিয়ে চিঠি দেয় বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি। আর সেই চিঠির প্রতিক্রিয়াতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাজ্য সরকার ডিএ দেবে৷
শিক্ষক সংগঠনের ওই চিঠিতে, রাজ্য সরকারি কর্মীদের বঞ্চনার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। বলা হয়ে যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৪৬ শতাংশ ডিএ পাচ্ছেন সেখানে,রাজ্যের কর্মী ও শিক্ষক-অশিক্ষ কর্মীদের মাত্র ৬ শতাংশ ডিএ দিচ্ছে সরকার। রাজ্য সরকারের কাছে এই বিষয়ে আলোচনায় বসার আবেদন জানানো হয় ওই চিঠিতে।
এদিকে ডিএ এর প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে নিয়েছে সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন। তৃণমূলের সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের নেতা প্রতাপ নায়েক বলেন, ‘সরকারি কর্মী বা শিক্ষকদের অবশ্যই ডিএ-র প্রয়োজনিয়তা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ডিএ দেবেন। তিনি তো কোনওদিন বলেননি যে ডিএ দেবেন না৷’
আরও পড়ুন: বালু-বাকিবুরের পাশাপাশি রেশন দুর্নীতির ভাগ পেতেন অভিষেকও! আদালতে বিস্ফোরক তথ্য পেশ ED-র
তিনি আরও বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি কর্মীদের পক্ষে। তিনি আগেও সরকারি কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। তাদের বক্তব্য শুনেছেন। পরেও শুনবেন। আমাদের সঙ্গেও তার বৈঠক হবে। তবে এখনও দিন ঠিক হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সরকারি কর্মীদের বিষয়গুলো আমরা তুলে জনাব। মাননীয়া কর্মী দরদী মানুষ। ডিএ নিয়েও ঘোষণা হবে এমনটাই আশা রাখছি আমরা। তবে কেন্দ্রের বঞ্চনার বিষয়টিও রয়েছে৷’
প্রসঙ্গত, ডিএ প্রসঙ্গে এর আগেও প্রতাপ নায়েক বলেছিলেন, ” কেন্দ্র সরকার এখনও বাংলার পাওনা ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা দেয়নি। তাই মুখ্যমন্ত্রী ডিএ দিতে পারছেন না। একবার কেন্দ্র সেই টাকা মিটিয়ে দিলেই মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চয় ডিএ দিয়ে দেবেন। রাজ্য সরকারি কর্মীদের স্বার্থে প্রয়োজনে বৈঠকে বসবে।’