বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্য জুড়ে একাধিক জায়গায় কেন্দ্রীয় এজেন্সির হানা। বুধবার ভোর ৫টা নাগাদ রানিগঞ্জের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক সোহরাব আলির (TMC former MLA Sohrab Ali) আসানসোলের বাড়িতে হানা দিয়েছিল আয়কর দফতরের গোয়েন্দারা। প্রায় ২০ ঘণ্টা জোর তল্লাশি শেষে অবশেষে বুধবার মধ্যরাতে সোহরাব আলির বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান আয়কর আধিকারিকেরা।
বুধবার ভোর থেকে প্রাক্তন বিধায়কের বাড়ি, দফতর-সহ আসানসোলের অন্তত আট জায়গায় তল্লাশি অভিযানে নামে আয়কর দফতর। রাজনীতির পাশাপাশি সোহরাব আলি ইমারতি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত।তার স্ত্রী আসানসোল পুরনিগমের কাউন্সিলর। সূত্রের খবর, তল্লাশি শেষে ব্যবসা সংক্রান্ত বেশ কিছু কাগজপত্র, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি নিয়ে গিয়েছে আয়কর দফতর।
বুধবার ছাঁট লোহার কারবারি সোহরাবের বাড়ি এবং দফতরের পাশাপাশি তার হিসাবরক্ষক পঙ্কজ আগরওয়ালের বাড়ি, অফিসেও চলে তল্লাশি। ওদিকে ইস্কো কারখানার ঠিকাদার ও প্রোমোটার বার্নপুরের ধরমপুরের বাসিন্দা সোহরাব আলির সহযোগী সৈয়দ ইমতিয়াজের বাড়ি, অফিস, ইমতিয়াজের কয়েক জন ঘনিষ্ঠের বাড়ি এবং নুন ও নির্মাণ ব্যবসায়ী মহেন্দ্র শর্মার বাড়ি সব মিলিয়ে মোট আট জায়গায় আয়কর হানা দেয়।
প্রসঙ্গত, ২০০১ সালের বিধানসভা ভোটে তৎকালীন হিরাপুর আসনে বাম সমর্থিত আরজেডি-র প্রার্থী হন সোহরাব আলি। তবে ভোটে পরাজিত হয়ে আরজেডি ছাড়েন সোহরাব। এরপর ২০০৪ সালে আরএসপি-র টিকিটে আসানসোল পুরভোটে প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ান তিনি। পরে ২০১১ সালে তৃণমূলের টিকিটে রানিগঞ্জের বিধায়ক হন সোহরাব। ওদিকে বিশাল প্রোমোটিংেয়র ব্যবসা রয়েছে প্রাক্তন বিধায়কের।
আরও পড়ুন: চলতি সপ্তাহেই মন্ত্রিসভায় বড়সড় রদবদল! আসতে পারে একাধিক নতুন মুখ, মন্ত্রিত্ব যাবে কাদের?
২০১৫ সালে লোহার ছাঁট চুরির অভিযোগে জেল খাটতে হয়েছিল সোহরাবকে। একদিন জেলে ছিলেন সোহরাব। যদিও পরদিনই ছাড়া পেয়ে যান। তারপর থেকে আর বিধায়কের টিকিট ভাগ্যে জোটেনি তার। প্রাক্তন বিধায়কের স্ত্রী বর্তমানে আসানসোলের তৃণমূল কাউন্সিলর। ২০১১ সাল থেকেই তৃণমূলের সক্রিয় নেতা হিসেবেই এলাকায় পরিচিত সোহরাব।
এই সোহরাব পুরনিগমের ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরও ছিলেন। জানা যাচ্ছে, আসানসোলের বার্ণপুরের রহমত নগর এবং ধরমপুর সহ একাধিক স্থানে সম্পত্তি রয়েছে বিধায়কের। মনে করা হচ্ছে হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি ও কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগেই এই তল্লাশি চালিয়েছে আয়কর দফতর।