বাংলা হান্ট ডেস্ক: আদালতের নির্দেশে খুলে ফেলা হয়েছে সিসিটিভি। আর তার পরদিনই এসএসকেএম হাসপাতালে ‘অসুস্থ’ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) সঙ্গে দেখা করতে পৌঁছে গেলেন বালু কন্যা প্রিয়দর্শিনী (Priyadarshini Mallick)। শনিবার সকালে জ্যোতিপ্রিয়র দাদা দেবপ্রিয় মল্লিক ও প্রিয়দর্শিনীকে দুজনেই কার্ডিওলজি বিভাগে মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পৌঁছে যান।
প্রসঙ্গত, গতকালই এসএসকেএম হাসপাতালে জ্যোতিপ্ৰিয়র রুমের বাইরে সিআরপিএফ কমান্ড্যান্ট মোতায়েন রাখার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। নিজের উপর ইডির নজরদারি শিথিল করার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালু। শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতে আদালতের নির্দেশ, মন্ত্রীর রুমের ভিতরে কোনও সিসিটিভি রাখা যাবে না।
রুমের সিসিটিভি ক্যামেরা সরাতে বলে বিচারপতির নির্দেশ ছিল, রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় (Ration Scam Case) ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নিরাপত্তায় থাকবে সিআরপিএফ। মন্ত্রীর রুমে কারা ঢুকছেন বেরোচ্ছেন সেসবের ওপর নজরদারি করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রেজিস্টার খাতাও ব্যবহার করতে হবে। যদিও এদিন ED-র অনুমতি নিয়ে জ্যোতিপ্রিয় কন্যা ও মন্ত্রীর দাদা তার সঙ্গে দেখা করেছেন কিন না সে বিষয়ে অবশ্য জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: বিয়ের প্রস্তাবে না করায় কাউন্সিলরকে হেনস্থার অভিযোগ দলেরই নেতার বিরুদ্ধে! সোনারপুরে শোরগোল
যদিও খুব বেশিক্ষণ মন্ত্রীর রুমে ছিলেন না তারা। কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখা করে বেরিয়েও আসেন। সেখান থেকে বেরিয়েই তারা মেডিক্যাল সুপারের ঘরে যান। আদালতের নির্দেশে শুক্রবারই খুলে জ্যোতিপ্ৰিয়র কেবিনের সিসিটিভি খুলে ফেলা হয়। আর ক্যামেরা সরতেই হাসপাতালে হাজির মেয়ে।
কেন তারা জ্যোতিপ্ৰিয়র সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন, সমস্ত নিয়ম মেনে দেখা করেছেন কি না, সাংবাদিকদের এই সব প্রশ্নে অবশ্য মুখ খোলেন নি তার পরিবারের দুই সদস্য। জ্যোতিপ্রিয়র শারীরিক অবস্থা নিয়েও সংবাদমাধ্যমের কাছে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তারা।