বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর থেকে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে তোলপাড় রাজ্যে। শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগের একাধিক মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। একাধিকবার আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Service Commission)। সোমবার ফের এসএসসি-কে তোপ বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চের। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসএসসি-র তৃতীয় রিপোর্টেও সন্তুষ্ট নয় হাই কোর্ট (Calcutta High Court)।
এদিন বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মোহাম্মদ রব্বস সিদ্দিকীর ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ এখনও পর্যন্ত নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে পারেনি কমিশন। আগামী দু’দিনের মধ্যে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে কমিশনকে চতুর্থ রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ মামলায় চাকরি বাতিল প্রসঙ্গে পূর্বে হাইকোর্টে কমিশন জানিয়েছিল, তারা নিজেদের ক্ষমতাবলেই চাকরি বাতিল করেছে। ওদিকে সুপ্রিম কোর্টে কমিশন কমিশন জানায়, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে চাকরি বাতিল করা হয়েছে। নিজেদের এই ভিন্ন মন্তব্য নিয়ে কমিশনকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
আদালতের নির্দেশ মেনে এদিন হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চে রিপোর্ট জমা দেয় কমিশন। এরপরই আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে কমিশন। কমিশনের উত্তর মোটেই সন্তোষজনক বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি দেবাংশ বসাক। কমিশনের পেশ করা তথ্য যথেষ্ট নয় বলেই পর্যবেক্ষণ আদালতের। সোমবার নবম-দশমে নিয়োগের সুপারিশ পত্র প্রত্যাহার নিয়ে হাইকোর্টে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে এসএসসি।
আরও পড়ুন: সম্পত্তির পরিমাণ জানতে চেয়ে নবান্নে পৌঁছল অমিত শাহের কড়া চিঠি! নির্দেশ না মানলেই…
কমিশনের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে বিচারপতি বলেন, “প্রায় ১ মাস ধরে আমরা স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছ থেকে সাহায্য চাইছি। প্রথম দিন থেকে জানতে চাইছি যে এসএসসি-র মাধ্যমে সুপারিশ পত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও ভুল হয়ে থাকলে, সেটা কি আপনারা খুঁজে পেয়েছেন কিনা? খুঁজে পেয়ে থাকলে সে ক্ষেত্রে কী করেছেন?”
এদিন ফের কমিশন জানায়, “আমরা অনেক অনিয়ম খুঁজে পেয়েছি। সেগুলো আদালতের সামনে পেশ করেছি। তারপর আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করেছি।” সোমবার এসএসসির উদ্দেশে ডিভিশন বেঞ্চ জানতে চায়, “এসএসসি কাউকে আড়াল করার চেষ্টা করছে কী? কী লুকোতে চাইছে এসএসসি?”
ওএমআর শিটে কারসাজি, গ্রুপ জাম্পিং ও সুপারিশ ছাড়া নিয়োগপত্র পাওয়ার ঘটনা সমস্ত বিষয়ে এসএসসির অবস্থান জানতে চেয়েছে আদালত। আগামী ২০ ডিসেম্বর মানলার পরবর্তী শুনানির এই বিষয়গুলির ওপর হলফনামা ও রিপোর্ট এসএসসিকে আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।