বাংলা হান্ট ডেস্ক : ২৫ জুন কসবায় সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে (Kasba Law College) এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের (Gangrape) ঘটনায় ফের চমকপ্রদ তথ্য উঠে এল পুলিশের তদন্তে। সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV Footage), কল রেকর্ড, মেডিক্যাল রিপোর্ট—সব মিলিয়ে ছবিটা আরও স্পষ্ট হচ্ছে। অভিযোগকারিণীর বয়ানে রাত ১০টা ৫০ মিনিট নাগাদ তিনি কলেজ ছাড়েন। কিন্তু তারপর? পুলিশের দাবি, মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র (Manojit Mishra) এবং তার সঙ্গীরা কলেজে আরও কিছুক্ষণ ছিলেন। তদন্তে উঠে এসেছে, ঘটনার পর প্রমাণ লোপাটের সম্ভাব্য চেষ্টাও হয়েছিল। অভিযুক্তদের পরনের জামাকাপড় বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, যা সিসিটিভি ফুটেজ থেকে শনাক্ত। শুধু তাই নয়, মনোজিৎ (Manojit Mishra) নাকি পরদিন সকালে ফার্ন রোডে এক পরিচিতর সঙ্গে দেখা করতেও যান।

রক্তের দাগ, হকিস্টিক, সিসিটিভি ফুটেজ—একটির পর একটি প্রমাণ মিলছে
পুলিশ সূত্রে খবর, কমনরুমে রক্তের দাগ পাওয়া গিয়েছে, যার নমুনা ফরেনসিকে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে সেই হকিস্টিকও, যা দিয়ে ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ। অন্যদিকে, সিসিটিভি ফুটেজে সাত ঘণ্টা ধরে কলেজ চত্বরে নির্যাতিতা, অভিযুক্ত এবং নিরাপত্তারক্ষীর গতিবিধি স্পষ্ট। ফুটেজে দেখা গিয়েছে, নির্যাতিতাকে জোর করে গার্ডের ঘরে ঢোকানো হয়েছিল। পুলিশের হাতে এসেছে মূল অভিযুক্তের ফোন থেকে দেড় মিনিটের একটি ভিডিও। জানা গিয়েছে, আরেক অভিযুক্তও নাকি সেই ঘটনার ভিডিও রেকর্ড করেছিল। সেই তথ্য সে নিজেই স্বীকার করেছে জেরায়।
আরও পড়ুন : গভর্নিং বডির আচমকা সিদ্ধান্ত! অনির্দিষ্টকালের জন্য কসবা ল কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ শিক্ষা দফতর

গলায় কামড়, শরীরে ক্ষতের চিহ্ন—মেডিক্যাল রিপোর্টেই স্পষ্ট যৌন নির্যাতন
মেডিক্যাল রিপোর্ট বলছে, নির্যাতিতার গলায় কামড়ের চিহ্ন, যৌনাঙ্গে আঘাত এবং শরীরের অন্যান্য অংশে মারধরের দাগ মিলেছে। চিকিৎসকদের মতে, এ সবই যৌন হিংসার স্পষ্ট প্রমাণ। যদিও মনোজিতের দাবি, সবই নাকি সম্মতিতে হয়েছিল, আর গলার ‘দাগ’ নাকি ‘লাভবাইট’। তবে এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নয় পুলিশ। এখন অপেক্ষা আদালতের রায়ের। অভিযোগের ভিত্তিতে একে একে প্রমাণ সাজাচ্ছে তদন্তকারী দল। কসবা কাণ্ডে আরও বড় চমক আসছে বলেই মনে করছে প্রশাসনিক মহল।