বাংলা হান্ট ডেস্ক : কলকাতার সায়েন্স সিটির মঞ্চে বৃহস্পতিবার ছিল নতুন অধ্যায়ের সূচনা। সেদিনই প্রথমবার রাজ্য বিজেপির (BJP) সভাপতি হিসাবে ভাষণ দিলেন শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)। আর সেই ভাষণের মধ্যেই উঠে এল এক বিস্মৃত নাম—তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ের বাবা শিবেন্দু শেখর রায় (Shivendu Shekhar Roy)। বাংলার রাজনীতির ইতিহাসে প্রায় বিস্মৃত সেই ব্যক্তিত্বকে স্মরণ করে শমীক প্রশ্ন তোলেন, “ওঁর নাম আমাদের পাঠ্যপুস্তকে নেই কেন?” শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “মালদার বিবদমান জমিদারদের একত্র করে কলকাতায় ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের কাছে নিয়ে এসেছিলেন শিবেন্দু শেখর রায়। তার পরেই তৈরি হয় বাংলার অন্তর্ভুক্তির রূপরেখা।” রাজ্য গঠনের ইতিহাসে এমন একজন ব্যক্তিত্বের নাম আজকের প্রজন্ম জানেই না বলে দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, “শিবেন্দু শেখরের ইতিহাস অন্য কেউ দখল করে বসে আছে। ওঁর অবদানকে মুছে দেওয়া হচ্ছে।”

২০২৬-এ তৃণমূলকে ‘বিসর্জনের’ ডাক
শুধু অতীত নয়, এদিনের বক্তব্যে ভবিষ্যতের লক্ষ্যও স্পষ্ট করেন শমীক। বলেন, “২০২৬-এ রাজ্যে বিজেপিকেই ক্ষমতায় আনতে হবে। দলমতের পার্থক্য ভুলে আমাদের একজোট হতে হবে। তৃণমূলের অপশাসনকে এই বাংলার মানুষ আর চাইছে না। তাদের বিদায় দেওয়ার সময় এসে গিয়েছে।” নতুন সভাপতি হিসেবে প্রথম ভাষণেই শাসক দলকে আক্রমণাত্মক ভাষায় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তিনি।

পাণ্ডিত্য প্রকাশেই উঠে এল বিস্মৃত অধ্যায়
পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ইতিহাস নিয়ে শমীক ভট্টাচার্যের জ্ঞান বরাবরই পরিচিত মহলে প্রশংসিত। এদিন সেই পাণ্ডিত্যপূর্ণ ভাষণের মধ্যেই শ্যামাপ্রসাদের রাজনৈতিক লড়াই, ভারতীয় জনসঙ্ঘের ইতিহাসের পাশাপাশি উঠে এল এমন নাম, যা আজ আর উচ্চারিত হয় না। নামের পাশে কোনও দলীয় পরিচয় না জুড়ে, ইতিহাসের ন্যায়বিচার চেয়ে শিবেন্দু শেখর রায়ের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান রাখলেন বিজেপির নতুন সভাপতি।