বাংলা হান্ট ডেস্ক : ২৫ জুনের সেই ভয়ংকর রাত কীভাবে কেটেছিল? কোথায় কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল নির্যাতিতাকে? আজ সেই প্রশ্নগুলির উত্তর খুঁজতেই কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে (Kasba Law College) হাজির হল বিশাল পুলিশ বাহিনী। সঙ্গে ছিল মূল অভিযুক্ত-সহ তিন অভিযুক্ত। অভিযুক্তদের নিয়ে যাওয়া হয় কলেজের ইউনিয়ন রুম, গার্ড রুম-সহ একাধিক স্থানে। তদন্তকারী অফিসাররা (Kolkata Police Investigation) তাঁদের নিয়ে প্রত্যেকটা ঘর, প্রত্যেকটা কোণা ঘুরে ঘুরে ঘটনার পুনর্নির্মাণ (Crime Scene Reconstruction) করছেন। দেখা হচ্ছে, কোন জায়গায় কী হয়েছিল, কারা কোথায় ছিল। সেই রাতে নির্যাতিতাকে কোথায় কোথায় টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, কতক্ষণ সময় লেগেছিল—সব কিছু খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সঙ্গে চলছে ভিডিয়োগ্রাফিও।

ঘটনার সময় ডিউটিতে থাকা নিরাপত্তারক্ষীকেও আজ কলেজে হাজির করানো হয়। উল্লেখযোগ্যভাবে, নির্যাতিতা তাঁর কাছেই সাহায্য চেয়েছিলেন। কিন্তু সে কিছুই করেনি বলে অভিযোগ। এই নিরাপত্তারক্ষীকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে, আজই তাঁর হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তদন্তকারীরা চাইছেন, ঘটনার পুনর্নির্মাণে তার ভূমিকাও নির্ভুলভাবে উঠে আসুক।
আরও পড়ুন : “উই আর প্রফেশনাল ক্রিমিনাল..,” মনোজিতের গলায় হুংকার! ভয়ঙ্কর কীর্তি এবার সামনে

এর আগেই নির্যাতিতাকে দিয়েও ঘটনার বর্ণনা করানো হয়েছিল
এর আগেও একইভাবে নির্যাতিতাকে কলেজে এনে ঘটনার প্রতিটি পর্যায় বুঝতে চেষ্টা করা হয়েছিল। তিনি নিজে দেখিয়ে দিয়েছিলেন, কোথায় কোথায় তাঁকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, কোথায় তাঁকে আটকে রাখা হয়েছিল। এবার অভিযুক্তদের সামনে রেখেই চলছে সেই ঘটনার দৃশ্য পুনর্নির্মাণ। তদন্তকারীরা দেখছেন, তাঁদের বক্তব্য ও নির্যাতিতার বয়ানের মধ্যে কোনও ফারাক আছে কি না। এই পুনর্নির্মাণ থেকে নতুন কোনও তথ্য উঠে আসে কি না, সেদিকেও নজর গোয়েন্দাদের। তদন্ত এখন পুরোপুরি তুঙ্গে। পুরো কলেজ ঘিরে রেখেছে পুলিশ। কলেজের ছাত্রছাত্রীরা হতবাক, আতঙ্কিত। তদন্তের গতি দেখে অনুমান, এবার হয়তো আরও বড় কোনও তথ্য প্রকাশ্যে আসতে চলেছে।
‘আমাদের পছন্দ ইসলাম, মুসলিমরা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে না, হিন্দুরা করে’, TMC বিধায়কের দাবিতে শোরগোল