বাংলা হান্ট ডেস্ক : বৃহস্পতিবার রাতে গুলিবিদ্ধ হলেন তৃণমূল (TMC Leader Shot) নেতা রাজু দে (Raju De Attack)। কোচবিহার-২ ব্লকের ঝিনাইডাঙা এলাকায় রাতে দলীয় কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সেই সময় আচমকা এক কালো স্করপিও গাড়িতে এসে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা (Political Violence)। খুব কাছ থেকে গুলি চালানো হয় তাঁর দিকে। গুলি লাগে ডান কাঁধে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অস্ত্রোপচার করে গুলি বের করা হয়। আপাতত তিনি স্থিতিশীল।

রাজু দে-কে চেনে না এমন কেউ ঝিনাইডাঙায় নেই। কোচবিহার-২ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ এবং চকচকা অঞ্চলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি হিসেবে তিনি তৃণমূলের এক পরিচিত মুখ। বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ দলের কাজ সেরে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় পেছন থেকে একটি স্করপিও গাড়ি এসে আচমকা গুলি চালায় তাঁর উপর। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কোনও কথা না বলেই চালানো হয় গুলি। এই হামলার জন্য সরাসরি বিজেপিকেই দায়ী করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, “পরিকল্পিতভাবে খুনের চেষ্টা চালানো হয়েছে।” যদিও তীব্রভাবে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উত্তর কোচবিহারের বিজেপি বিধায়ক সুকুমার রায়। তাঁর পাল্টা দাবি, “এটি তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। নিজেদের সমাজবিরোধী কার্যকলাপ ঢাকতে বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে।”
ঘটনাস্থলে পুলিশ, বাজেয়াপ্ত গাড়ি, শুরু তদন্ত
গুলি চলার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। ইতিমধ্যেই সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, একটি সন্দেহভাজন গাড়িও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, হামলার আগে থেকেই নজর রাখা হচ্ছিল রাজু দে-র উপর।
আরও পড়ুন : ১০০ দিনের কাজের নামে ১৫ কোটি টাকার দুর্নীতি! আদালতের রায়ে কাঁপছে তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান
ভোটের আগে ফের উত্তপ্ত কোচবিহার, বাড়ছে রাজনৈতিক চাপানউতোর
এই হামলার পর ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কোচবিহার রাজনীতি। একদিকে গুলি চলার ভয়, অন্যদিকে দলগত লড়াই। কারা সত্যি, আর কারা চালাকি করছে—তা জানতে চোখ থাকবে পুলিশের রিপোর্টের দিকেই। তবে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের দাবি, “রাজু দে দলের শক্তিশালী নেতা ছিলেন। তাঁকে সরানোর জন্যই এ হামলা। ভোটের আগে এই বার্তা ছড়াতে চাইছে কেউ।”
‘আমাদের পছন্দ ইসলাম, মুসলিমরা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে না, হিন্দুরা করে’, TMC বিধায়কের দাবিতে শোরগোল