বাংলা হান্ট ডেস্ক : মালদার মানিকচকে যুব তৃণমূলের সভায় (Trinamool Congress) এমন মন্তব্য যে আসতে পারে, তা হয়তো কেউ ভাবেননি। মঞ্চ থেকে তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রর (Sabitri Mitra) বক্তব্য ঘিরে জেলায় শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক (TMC Controversy)। তিনি বলেন, তাঁদের সবচেয়ে পছন্দ ইসলাম ধর্ম। কারণ মুসলিমরা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে না। কিন্তু হিন্দুরা ধর্মকে হাতিয়ার করছে—এই মন্তব্যেই ছড়িয়েছে আগুন। বৃহস্পতিবার মালদা কলেজ অডিটোরিয়ামে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাবিত্রী বলেন, “বিজেপি রামের নামে ভোট চাইছে। রাম আর জগন্নাথ কি আলাদা?” তারপরেই তিনি বলেন, “আমাদের সবচেয়ে পছন্দ ইসলাম। মুসলিমরা আন্দোলন করে না। হিন্দুরা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে।” সঙ্গে তুলনা টানেন আরবি পড়া ও কোরান শিক্ষার সঙ্গে। তাঁর কথায়, গীতা পড়ানো হয় না কোথাও।

মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক পাখির চোখ? উঠছে প্রশ্ন
বিধায়কের এই মন্তব্য ঘিরে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে তৃণমূলের অবস্থান নিয়ে। বিরোধীদের অভিযোগ, মুসলিম ভোট টানতে গিয়ে তৃণমূল নেতারা হিন্দুদের ভাবাবেগে বারবার আঘাত করছেন। বিজেপির বক্তব্য, “এটাই তৃণমূলের আসল রূপ। ভোটের মুখে ধর্মকে ভাগ করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে।” সাবিত্রী মিত্র অবশ্য সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজের অবস্থান বদলাননি। তাঁর সাফ কথা, “বিজেপি বলছে আমরা মুসলিমদের দল, তারা নাকি হিন্দুদের দল।” নিজের বক্তব্যের পক্ষে সওয়াল করে তিনি জানান, ধর্ম নিয়ে ভোট না করলেই সৎ রাজনীতি সম্ভব। যদিও এই মন্তব্যে আপাতত জলঘোলা শুরু রাজনীতিতে।
আরো পড়ুন : চিকিৎসক থেকে ‘প্রাক্তন চিকিৎসক’! রাজ্য কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের পরই বড় পদক্ষেপ নিলেন শান্তনু

ধর্মীয় উত্তেজনায় রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে
তাঁর বক্তব্যকে ঘিরে এখন উত্তপ্ত মালদা জেলাজুড়ে রাজনৈতিক আবহ। বিজেপির দাবি, হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত করেই মুসলিম ভোট টানতে চাইছে তৃণমূল। তাঁদের দাবি, “এই কথার জবাব মানুষ ভোটে দেবেই।” অন্যদিকে, তৃণমূলের তরফে কেউ এই মন্তব্যকে প্রকাশ্যে সমর্থন করেননি এখনও পর্যন্ত।