Ekchokho.com 🇮🇳

স্কুলে গেলে টাকা দেবে কে? পেটের ভাত জোগাতে তাই ভরসা লোকাল ট্রেন! চোখে জল আনবে বিক্রমের কাহিনি

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : নিত্যদিন লোকাল ট্রেনে (Local Train) কতশতই না হকার ওঠে। ট্রেনের কামরায় কামরায় ঘুরে ঘুরে বিক্রি করেন নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী, হরেক রকম খাবার। তাদের মধ্যে থেকেই নিত্যযাত্রীদের নজর কেড়ে নিয়েছে এক নাবালক। বনগাঁ-হাবড়া লাইনের নিত্যযাত্রীদের অনেকের কাছেই পরিচিত সে। মাত্র ১৩ বছর বয়সেই সংসারের জোয়াল কাঁধে তুলে নিয়েছে সে। ট্রেনে (Local Train) হকারি করেই পেটের ভাত জোগায় পরিবারের সদস্যদের।

লোকাল ট্রেনে (Local Train) হকারি করেই সংসার চালায় নাবালক

বনগাঁ-হাবড়া লোকালে নিত্য দেখা মেলে বিক্রম সুতার। বয়স মাত্র ১৩। কিন্তু জীবনের বাস্তবতা এই বয়সেই অনেকটা বড় করে দিয়েছে তাকে। তার বয়সী অন্য ছেলেমেয়েরা যেখানে স্কুলের ব্যাগ কাঁধে, মাঠে ক্রিকেট-ফুটবল খেলে বড় হচ্ছে, সেখানে বিক্রমের কাঁধে উঠে এসেছে সংসারের ভার। তাই সে অনায়াসেই বলে দিতে পারে, স্কুলে গেলে টাকা মেলে না। কিন্তু লোকাল ট্রেনে (Local Train) হকারি করলে সংসার চালানোর টাকা আসে হাতে।

Minor boy sells stuff in local train to run the household

বাবা থেকেও নেই: চাঁদপাড়ার বাড়িতে সদস্য বলতে বিক্রম, তার মা আর ছোট্ট বোন। নাবালক জানায়, বোনের জন্মের পরেই তাদের ছেড়ে চলে গিয়েছে বাবা। দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে মা-ই সংসার টানছিলেন। কিন্তু একার রোজগারে আর কী হয়! তাই ১৩ বছরেই গুরু দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে বিক্রম। মা কাজ করেন লোকের বাড়িতে। আর বিক্রম লোকাল ট্রেনে (Local Train) ঘুরে ঘুরে করে বেড়ায় হকারি। ঝুরিভাজা, বাদাম থেকে সংসারের টুকিটাকি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস।

আরো পড়ুন : নবান্ন অভিযানে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ শুভেন্দুর কাছে, ১৪ অগাস্ট ফের ‘রাত দখল’এর ডাক অভয়ার মায়ের

ট্রেনে ট্রেনে ঘুরে হকারি: বনগাঁ, হাবড়া বা গোবরডাঙা লোকালে (Local Train) উঠলেই তার দেখা মেলে। সব কামরায় আবার সমান বিক্রিবাটা হয় না। তাই এখন লেডিস কামরাতেই বেশি ওঠে বিক্রম। সারাদিন বিভিন্ন স্টেশনে, ট্রেনে (Local Train) ঘুরে ঘুরে জিনিস বিক্রি করার পর কোনো হোটেল বা কালীদির দোকানে যায় সে। সেখানে একবাটি জুটে যায় বিনামূল্যে।

আরো পড়ুন : মহরমের তারিখ নিয়ে ধোঁয়াশা, কবে থাকছে সরকারি ছুটি? সোমবার দেশজুড়ে বন্ধ ব্যাঙ্কও? জানুন

সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে ভাইরাল হয়েছে বিক্রমও। মাত্র ১৩ বছর বয়সে তাঁর জীবনযুদ্ধ জায়গা করে নিয়েছে ডিজিটাল মাধ্যমে। কিন্তু আক্ষেপ রয়ে গিয়েছে বিক্রমের। তার কথায়, সবাই এসে শুধু ছবি তোলে। সাহায্য কেউ করে না।