বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিজেপির (BJP) রাজ্য নেতৃত্বে বদলের পর প্রথমবার রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। দলের নবনিযুক্ত রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের (Shamik Bhattacharya) নেতৃত্বে ১৮ জুলাই দমদম সেন্ট্রাল জেলের মাঠে জনসভা করবেন তিনি। সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder) থেকে ব্যাটন পাওয়ার পরে প্রথমবার বিজেপির রাজ্য সভাপতির পাশে দেখা যাবে মোদীকে। সূত্রের খবর, ওই সভার জন্য ইতিমধ্যেই সাত সদস্যের কমিটি গঠিত হয়েছে। শমীক ভট্টাচার্য বুঝিয়ে দিয়েছেন, বিজেপির (BJP) মধ্যে কোনও বিভাজন নেই— পুরনো ও নতুন মুখ একসঙ্গেই নামবে ছাব্বিশের যুদ্ধে।

মোদীর সভার তিন দিন পর ২১ জুলাই ধর্মতলায় শহিদ দিবসের সভা করবে তৃণমূল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শহিদ দিবসের সভা বরাবরই রাজনীতির মোড় ঘোরানো মঞ্চ। তার ঠিক আগেই মোদীর সভা একটি স্পষ্ট রাজনৈতিক বার্তা। বিজেপি চাইছে, ভোটের সুর বাঁধার আগে রাজ্যে তাদের উপস্থিতি টের পাক মানুষ। গত মে মাসে আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে মোদী তৃণমূলকে দুর্নীতি, SSC কেলেঙ্কারি, কর্মসংস্থানের অভাব-সহ একাধিক ইস্যুতে আক্রমণ করেন। এবার দক্ষিণবঙ্গের সভা থেকে তিনি আরও তীব্র সুরে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করতে পারেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা।
আরও পরুনঃ ভারতের অর্থনীতিতে বড় চমক! বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারে হল বিপুল বৃদ্ধি, কী জানাল RBI?

সভা ঘিরে প্রস্তুতি তুঙ্গে, নজরে রাজনৈতিক বার্তা
দমদমের সভায় মোদীর উপস্থিতি ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে গেরুয়া শিবিরে। ইতিমধ্যেই সভাস্থলে নিরাপত্তা ও প্রচার সংক্রান্ত কাজ শুরু হয়েছে। ১৮ জুলাইয়ের সভা থেকে মোদী কী বলেন, কতটা আক্রমণাত্মক হন— সেদিকে নজর রাজনৈতিক মহলের। তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি কলকাতা লাগোয়া সভা করেই বিজেপি বার্তা দিতে চাইছে যে ছাব্বিশে তারা হাল ছাড়ছে না।