বাংলাহান্ট ডেস্ক : শীতকাল মানে অনেক বাঙালির কাছে নস্টালজিয়ার মতো ফিরে ফিরে আসে জয়নগরের মোয়া। স্বাদে-গন্ধে জয়নগরের মোয়ার তুলনা নেই। কিন্তু ইদানিংকালে অনেকেই মুখ ফিরিয়েছেন জয়নগরের মোয়া থেকে। ভেজাল ও নকল জয়নগরের মোয়ার জন্য বিরক্ত ক্রেতা-বিক্রেতা দুপক্ষ। ২০১৫ সালে জিআই বা ‘জিয়োগ্রাফিকাল ইন্ডিকেশন’ তকমা লাভ করে জয়নগরের মোয়া। তবুও জয়নগরের মাটিতেই তৈরি হচ্ছে এই নকল মোয়া।
আসল জয়নগরের মোয়া চেনার উপায়:
• জয়নগরের মোয়া তৈরির উপকরণ এটির আসল বা নকলের পরিচয় দেয়। মোয়ার বাক্সে সর্বদা উপকরণ দেখে নিতে হবে।
• আসল মোয়া তৈরি করা হয় উঁচু মানের সুগন্ধি খই, নলেনগুড়, কাজু, কিসমিস, খোয়া ক্ষীর, ঘি দিয়ে।
• কেনার আগে অবশ্যই দেখে নিতে হবে উপকরণ, অথরাইসড ইউ জার নম্বর, তৈরি হওয়ার জায়গা।
• মোয়া ব্যবসায়ীরা এই বিষয়ে স্বচ্ছতার জন্য তৈরি করেছেন বার কোড। এই বার কোড স্ক্যান করে মোয়ার আসল-নকল পরীক্ষা করতে পারবেন গ্রাহক।
আরোও পড়ুন : পৌষমেলা স্পেশাল ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা পূর্ব রেলের! দেখুন,কবে-কখন মিলবে পরিষেবা
জয়নগর মোয়া নির্মাণ সোসাইটির সম্পাদক অশোক কয়াল জানিয়েছেন, “আমরা মোয়া তৈরি শুরু করেছি ভালো মানের গুড় মেলার পর। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যাতে গ্রাহকরা আসল মোয়া পেয়ে থাকেন। এর জন্য যা যা ব্যবস্থা গ্রহণ করার আমরা করছি।” মোয়া নির্মাতাদের জোট চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্য তথা সারা দেশে আসল জয়নগরের মোয়া পোঁছে দেওয়ার।
এই ব্যাপারে রাজ্য সরকারের একাধিক বিভাগ সাহায্য করছে। অনেক ব্যবসায়ী বলছেন, উৎকৃষ্ট পরিমাণ নলেন গুড়ের অভাবের ফলে বিগত কয়েক বছরে ব্যবসায় ঘাটতি এসেছে। অনেক গ্রাহকের মতে জয়নগরের আসল মোয়াতেও আগের মতো স্বাদ-গন্ধ মেলে না এখন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর, কুলতলী, বাসন্তী, গোসাবা এলাকার অনেক মোয়া নির্মাতা তাই অন্য ব্যবসার দিকেও ঝুঁকছেন।