বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আর মাত্র একটা বছর। তারপরেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন (Bengal assembly elections)। শমীক ভট্টাচার্যের (Shamik Bhattacharya) হাত ধরে নতুন অধ্যায় শুরু করেছে বঙ্গ বিজেপি (BJP)। তিনি বলছেন, বাংলার মানুষ তৃণমূলকে (Trinomool Congress) ক্ষমতা থেকে সরাতে চায়। কিন্তু, কথার চেয়ে কঠিন হিসেব ভোটের অঙ্ক। লোকসভা ভোটে রাজ্যে বিজেপি (BJP) পিছিয়ে প্রায় ৪২ লক্ষ ভোটে। এই ফারাক মেটানোই এখন শমীকের প্রধান চ্যালেঞ্জ।

চব্বিশের লোকসভা ভোটে বিশাল ব্যবধানে পিছিয়ে গেরুয়া শিবির
রাজ্যের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল পেয়েছে ২ কোটি ৭৫ লক্ষের কিছু বেশি ভোট। সেখানে বিজেপির ভোট ২ কোটি ৩৩ লক্ষের কিছু বেশি। এই বিশাল ফারাককে ঘিরেই এখন চিন্তায় রাজ্য বিজেপি। তাই দায়িত্ব নেওয়ার পরেই সল্টলেকে প্রথম বৈঠকে বসেন সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল, মঙ্গল পাণ্ডে এবং অমিত মালব্য। উপস্থিত ছিলেন মোর্চা ও সেলের নেতারাও।
মাঠে নামার আগে অঙ্ক কষা শুরু
এই বৈঠকেই স্পষ্ট করে দেওয়া হয়, ভোটে ফারাক মেটাতে হলে এখন থেকেই পরিকল্পনা করতে হবে। বুথ ধরে ধরে জানতে হবে কে কোথায় কতটা শক্তিশালী। সক্রিয় হতে হবে মোর্চা ও সেলগুলিকে। শমীক স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, আর সময় নেই, এখনই ঝাঁপাতে হবে। বুথ স্তরের রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে প্রত্যেক সংগঠনের কাছ থেকে।
আরও পড়ুনঃ পুজোর পরেই ভোট যুদ্ধের দামামা, BJP-র ইস্তাহার প্রকাশের আগেই গুরু দায়িত্ব সুকান্তকে

মোর্চা ও সেলগুলিকে কড়া বার্তা সভাপতির
দলের একাংশ মনে করছে, এতদিন মোর্চা ও সেলের কাজ অনেকটাই ঢিলেঢালা ছিল। তৃণমূল যেখানে বুথে বুথে পৌঁছে গিয়েছে, সেখানে বিজেপির সংগঠন এখনও অনেক জায়গায় অপ্রস্তুত। তাই এবার নিচুতলার সংগঠনে গতি আনতেই সভাপতির নজর। এক নেতার কথায়, “শুধু দিল্লির হাওয়া দিয়ে বাংলা চলে না। জমির রাজনীতি করতে হবে বাংলায়।”
৪২ লক্ষ ভোট কি পূরণযোগ্য?
প্রশ্ন উঠছে, এক বছরে কি এই ব্যবধান মিটবে? রাজনৈতিক মহলের মতে, এটা অসম্ভব নয়। কিন্তু তার জন্য চাই ধারাবাহিক পরিশ্রম, বুথস্তরের উপস্থিতি, এবং মানুষের আস্থা অর্জন। শমীক সেই চেষ্টাতেই নেমেছেন। বাকিটা সময় বলবে।