বাংলাহান্ট ডেস্ক : ছাব্বিশের নির্বাচনের আগেই নতুন রাজ্য সভাপতিকে বরণ করে নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি (BJP)। নতুন সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর নেতৃত্বে ছাব্বিশের ভোট যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত গেরুয়া শিবির, সভাপতিত্ব গ্রহণের মঞ্চ থেকেই ঘোষণা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ইতিমধ্যেই শমীককে সামনে রেখে আসন্ন নির্বাচনের হিসেব নিকেশ শুরু করে দিয়েছে বিজেপি (BJP)। জানা গিয়েছে, পুজোর পরেই ইস্তাহার প্রকাশ করবে পদ্ম শিবির। এই আবহে এবার বড় দায়িত্ব পেলেন সদ্য ‘প্রাক্তন’ হওয়া পূর্ব রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে।

পুজোর পরেই ইস্তাহার প্রকাশ বিজেপির (BJP)
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, একুশের মতো ছাব্বিশেও মার্চ-এপ্রিল নাগাদ হতে পারে নির্বাচন। তবে জানা যাচ্ছে, নির্বাচন কমিশনের নির্ঘন্ট প্রকাশের জন্য অপেক্ষা করবে না বিজেপি (BJP)। দুর্গাপুজো মিটলেই কোমর বেঁধে নির্বাচনী প্রস্তুতিতে নামতে চলেছে গেরুয়া শিবির। পুজোর পরেই বঙ্গ বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ হবে বলে খবর।
বড় দায়িত্ব সুকান্ত মজুমদারকে: এই প্রসঙ্গেই এবার বড় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বঙ্গ বিজেপির (BJP) প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। দলের নির্বাচনী ইস্তাহারের প্রচ্ছদ পরিকল্পনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁকে। জানা যাচ্ছে, ছাব্বিশের নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে ইতিবাচক প্রচারে বেশি করে জোর দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বিজেপি (BJP)। অর্থাৎ তারা ক্ষমতায় এলে রাজ্যে কী কী উন্নয়ন হতে চলেছে, সে বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা বিশদে তুলে ধরা হবে মানুষের সামনে। প্রচারের জন্য একাধিক কমিটিও গঠন করা হয়েছে বলে খবর।
আরো পড়ুন : ৭ বছরের প্রেমের সম্পর্ক, সেই মানুষটাই কিনা…! এবার মুখ খুললেন কসবা কাণ্ডে মূল অভিযুক্তের প্রেমিকা
নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু বিজেপির: এবারে বুথ সশক্তিকরণের দিকে জোর দিচ্ছে বিজেপি (BJP)। গতবারের লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে মোট ৯২ টি বিধানসভা কেন্দ্রে এগিয়ে বিজেপি। ১০৮ টি কেন্দ্রে সামান্য ব্যবধানের জন্য পিছিয়ে রয়েছে দল। তাই এবারে এই ২০০ টি কেন্দ্রকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বিজেপি (BJP)। ওই আসনগুলিতে পূর্ণশক্তির বুথ কমিটি গঠন করতে ১০-১৩ জুলাই জেলা কমিটিগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বৈঠকের।
আরো পড়ুন : চলছে তদন্ত, তার মাঝেই খুলছে কসবা ল কলেজ, বন্ধ থাকবে ইউনিয়ন রুম
জানা যাচ্ছে, ওই ২০০ টি বিধানসভায় কোন কোন উপায়ে ভোটের হার বাড়তে পারে, সে বিষয়ে লিখিত মতামত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিটিগুলিকে। পাশাপাশি বিভিন্ন স্তরের নির্বাচন পরিচালন কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ওই সব কেন্দ্রগুলিতে স্থানীয় ইস্যুকে সামনে রেখে বিধানসভা ভিত্তিক আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করতে।