বাংলাহান্ট ডেস্ক : ছোটবেলার রূপ কথার গল্পে ব্রহ্মদৈত্যর কথা কে না শুনেছে! বিশেষ করে বাংলা ভূতের গল্পে ব্রহ্মদৈত্যর আবির্ভাব ঘটে মুহুর্মুহু। কিন্তু বাস্তবে কি ব্রহ্মদৈত্য রয়েছে? একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে এই কথা কেউ মানতে চাইবেন না। যতই সময় গেছে ততই আধুনিক হয়েছে প্রযুক্তি। শহর থেকে শহরতলি ছেয়ে গেছে আলোর বন্যায়।
এমন অবস্থায় ভূত-পেত্নী-ব্রহ্মদৈত্যরা কেবল বেঁচে আছে বইয়ের পাতায়। কিন্তু ব্রহ্মদৈত্যকে নিয়ে এবার সমস্যায় পড়লেন খোদ কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম। শুনতে অবাক লাগলেও সম্প্রতি এমনটাই ঘটেছে কলকাতা পুরসভার সাথে। কলকাতা পুরসভার ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের অবিনাশ চৌধুরী লেনে এখন কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে এই খবর।
আরোও পড়ুন: বড়দিনে বৃষ্টিতে ভিজবে দক্ষিণবঙ্গের এই ৫ জেলা! আবহাওয়া বদলের বড়সড় পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের
অবিনাশ চৌধুরী লেনের এক বাসিন্দা মেয়রকে জানান যে একটি পুরনো অশ্বত্থ গাছের জন্য সমস্যা হচ্ছে। এই বাসিন্দার বাড়ির পাশেই রয়েছে গাছটি। কালের নিয়মে এই গাছ বড় হতে হতে এখন বাড়ির মধ্যে ঢুকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। তাই গাছ কাটার জন্য তিনি অনুরোধ করেন পুরসভায়। নিয়ম অনুযায়ী কলকাতা পুরসভা এলাকার গাছ কাটার জন্য আগে পুরসভার অনুমতি নিতে হয়। তারপর পুরসভার কর্মীরা গিয়ে সেই গাছ কেটে দেন।
তবে এলাকার মানুষদের বিশ্বাস ব্রহ্মদৈত্য রয়েছে এই অশ্বত্থ গাছে। তাই গাছ কাটার লোকও পাওয়া যাচ্ছে না। এইসব শুনে রীতিমতো চিন্তায় পড়ে যান মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম। ওই বাসিন্দাকে ফিরহাদ হাকিম বলেন লোক জোগাড় করে পুজো করে এই গাছ কাটতে। কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে তাতে অনুমতি দিয়ে দেওয়া হবে। যদিও খবর এখনো পর্যন্ত লোক জোগাড় করা যায়নি এই গাছ কাটার জন্য।