বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসাবে এই প্রথম পৌষ মেলার উদ্বোধন করলেন কোনও মুখ্যমন্ত্রী। ঐতিহ্যবাহী এই মেলার উদ্বোধন হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। ভার্চুয়ালি আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করেন পৌষ মেলার। মুখ্যমন্ত্রীর হাতে এই প্রথম পৌষ মেলার উদ্বোধন হয়ে সৃষ্টি হল ইতিহাসের।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের বক্তব্য এটি নিঃসন্দেহে মুখ্যমন্ত্রীর মুকুটে একটি নতুন পালক যোগ করবে। আগামী লোকসভা নির্বাচনে এটি তাঁর দলের জন্য একটি বড় অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে। আজ শান্তিনিকেতনে শুরু হল ১২৫ তম পৌষ মেলার। ‘মোরে ডাকি লয়ে যাও মুক্ত দ্বারে’ গানে বৈতালিক এবং উপাসনার মধ্যে দিয়ে পৌষ মেলার সূচনা হল।
আরোও পড়ুন : আস্ত লাক্সারি বাস চুরি! হুলস্থূল কাণ্ড নবদ্বীপে, জ্যামে আটকা পড়তেই মাথায় হাত চোরের
শান্তিনিকেতনের উপাসনা গৃহ থেকে ভোরবেলা সানাইয়ের সুর ভেসে আসে। ছাতিম তলায় এরপর হয় উপাসনা। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ এই উপাসনায় অংশগ্রহণ করেন। ১৮৯৪ সালের ডিসেম্বর মাসে (বাংলা ৭ পৌষ) মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর জ্যেষ্ঠপুত্র দ্বিজেন্দ্রনাথ ও কনিষ্ঠপুত্র রবীন্দ্রনাথকে সাথে নিয়ে উদ্বোধন করেন উপাসনা গৃহের।
এই উপলক্ষে একদিনের মেলা বসত সেখানে। সেই মেলাই কালক্রমে ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলার রূপ নেয়। একদিনের পৌষ মেলা হত ১৮৯৪ থেকে ১৯২১ সাল পর্যন্ত। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয় ১৯২১ সালে। সেই থেকে ১৯৬১ সাল রবীন্দ্রনাথের জন্মশতবর্ষ পর্যন্ত দুদিনের জন্য পৌষ মেলা বসত। মেলার সময় বৃদ্ধির জন্য পরে এটির স্থান পরিবর্তিত হয়ে হয় পূর্বপল্লির মাঠ।
আরোও পড়ুন : গোমাতা দেবতাতুল্য! গোহত্যা হলে ক্ষমা করবেন না ঈশ্বরও, সাফ জানিয়ে দিল হাইকোর্ট
এরপর ১৯৬১ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত তিন দিনের জন্য মূল মেলা হত। তারপর আরো কিছুদিন ভাঙা মেলা থাকত। পরিবেশ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ২০১৬ সাল থেকে তিন দিনের মেলার পরে মেলা প্রাঙ্গণ খালি করে দিত। এবার এই মেলা চার দিন করার জন্য অনুমতি মিলেছে। তবে এবার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আগেই জানায় সময়সীমা কম থাকায় তারা এই মেলার আয়োজন করতে পারছে না। যদিও প্রশাসনের উদ্যোগে সংঘটিত হওয়া এই মেলায় থাকছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মেলার রবিবার ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করলেন। এই মুহূর্তে এই মেলাকে ঘিরে কার্যত সাজ সাজ রব।