বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে মুদ্রাস্ফীতি (Inflation) একটি বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেটি প্রত্যক্ষভাবে প্রভাবিত করে সাধারণ মানুষকে। এমতাবস্থায়, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ক্রমবর্ধমান দামে যদি আপনিও চিন্তিত থাকেন সেক্ষেত্রে এবার একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এবার ব্যাঙ্ক অফ বরোদা তাদের নতুন রিপোর্টে জানিয়েছে যে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে (এপ্রিল-জুন ২০২৫) মুদ্রাস্ফীতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অনুমান অনুযায়ী হবে।

এবার কমবে মুদ্রাস্ফীতি (Inflation):
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, RBI সমগ্র অর্থবর্ষের জন্য গড় কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (CPI) অর্থাৎ খুচরো মুদ্রাস্ফীতি (Inflation) ৩.৭ শতাংশ অনুমান করেছে। প্রথম ত্রৈমাসিকে এটি ২.৯ শতাংশ, দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ৩.৪ শতাংশ, তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ৩.৯ শতাংশ এবং চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ৪.৪ শতাংশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ব্যাঙ্ক অফ বরোদার রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, এটি সম্ভব হবে কারণ পরিসংখ্যানগত ভিত্তি অনুকূল রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে।
সবজি ও ডালের দাম কমেছে: ব্যাঙ্ক অফ বরোদার অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সূচক ২০২৫ সালের জুন মাসে ১.৮ শতাংশ হ্রাস দেখিয়েছে। যা ২০২৫ সালের মে মাসে ০.৬ শতাংশ হ্রাসের চেয়ে বেশি। এটিতে টানা তৃতীয় মাসে পতন পরিলক্ষিত হয়েছে। যার প্রধান কারণ হল শাকসবজি ও ডালের দাম কমে যাওয়া। জুন মাসে, পেঁয়াজের খুচরো দাম (Inflation) ২৬.১ শতাংশ, আলুর দাম ২০.৩ শতাংশ এবং টমেটোর ২৪ দাম শতাংশ কমেছে।
সবচেয়ে বেশি পতন হয়েছে অড়হর ডালে: এদিকে, ডালের কথা বলতে গেলে, সবচেয়ে বেশি পতন হয়েছে অড়হর ডালের দাম। এক্ষেত্রে টানা চতুর্থ মাসে অড়হর ডালের দামে দুই অঙ্কের পতন দেখেছে। এছাড়াও, কলাই, মুগ এবং মসুর ডালের দামও কমছে। অনুমান করা হচ্ছে এর ফলে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমেছে (Inflation)। যা সাধারণ মানুষের পকেটের বোঝা কমাতে পারে।
আরও পড়ুন: ভারত-আমেরিকার ট্রেড ডিলে কীভাবে প্রভাবিত হবে শেয়ার বাজার? কোন স্টকে রাখবেন নজর? জানুন বিস্তারিত
সাধারণ মানুষের জন্য এর অর্থ কী: সামগ্রিকভাবে দেখতে গেলে, এই পতন গ্রাহকদের জন্য নিঃসন্দেহে স্বস্তির হিসেবে বিবেচিত হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য শাকসবজি এবং ডাল সস্তা হয়ে যাওয়ায় পরিবারের বাজেট পরিচালনা করা সহজ হতে পারে। তবে, এই প্রবণতা দীর্ঘ সময় ধরে অব্যাহত রাখতে আবহাওয়া এবং সাপ্লাই চেনের ওপর নজর রাখতে হবে। যদি মুদ্রাস্ফীতি RBI-এর অনুমান অনুসারে অব্যাহত থাকে, তাহলে সুদের হার পরিবর্তনের সম্ভাবনাও কম থাকবে। যা ঋণগ্রহীতাদের জন্য উপকারী হতে পারে।
আরও পড়ুন: ৩৬ টি চালেই করলেন বাজিমাত! ক্রোয়েশিয়ায় শিরোপা জিতলেন ডি. গুকেশ
বৃষ্টি মুদ্রাস্ফীতির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে: বিশেষজ্ঞর জানিয়েছেন যে, বৃষ্টি এবং বিশ্ব বাজারের পরিস্থিতি মুদ্রাস্ফীতির (Inflation) ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।তাই, সরকার এবং RBI থেকে আসা নীতিগুলির উপর নজর রাখা গুরুত্বপূর্ণ। সবকিছু পরিকল্পনা অনুসারে চললে, আগামী কয়েক মাসে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে।