বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কসবা ল কলেজ (Kasba Law College) গণধর্ষণকাণ্ডে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে তদন্তে (Investigation)। পুলিশি জেরায় এবার জানা গেল, নির্যাতিতাকে গার্ড রুমে টেনে নিয়ে যাওয়ার সময় বাধা দিতে এলে নিরাপত্তারক্ষীকে গুলি করে মারার হুমকি দিয়েছিল মনোজিৎ মিশ্র (Manojit mishra) ও তার দলবল। এমনই দাবি করেছে কর্তব্যরত রক্ষী পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার ধৃত চারজনকে মুখোমুখি বসিয়ে একসঙ্গে জেরা করা হয়।
সূত্রের খবর, নির্যাতিতা যখন চিৎকার করছিলেন, সেই সময় পিনাকী ছুটে আসেন গার্ড রুমের সামনে। জানতে চাইলে মনোজিৎ, জায়েব ও প্রমিত তাকে চলে যেতে বলে। গা বাঁচাতে চুপ করে থাকার হুমকিও দেওয়া হয়—না হলে গুলি করে খুন করা হবে বলে হুমকি দেয় তারা। তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন, সত্যিই কি কারও কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল? পিনাকীর বয়ানের ভিত্তিতে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে গোয়েন্দারা।
বাথরুমে ভয় দেখানো, কলেজের (Kasba Law College) গার্ড রুমে বিবস্ত্র করার চেষ্টা
তদন্তে উঠে এসেছে, গার্ড রুম ও বাথরুমে মনোজিৎ নির্যাতিতাকে কয়েকজন ‘প্রভাবশালী’র নাম করে ভয় দেখায়। বাধা দিলে কলেজ থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এরপর নির্যাতিতাকে পোশাক খুলতে বলা হলে সে রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর করে জায়েব ও প্রমিত। তারা জানায়—“দাদা যা বলছে শুনো, না হলে আরও খারাপ হবে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে যাওয়ায়, পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠলে গেট খুলে দেওয়া হয়। যাতে সে নিজে বেরিয়ে যেতে পারে। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, ওই রাতে পুরো পরিকল্পনা ছিল তিনজনের তরফেই। তবে তরুণীর শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় বাকিরা আর সাহস দেখাতে পারেনি।
আরও পড়ুনঃ স্কুলে গেলে টাকা দেবে কে? পেটের ভাত জোগাতে তাই ভরসা লোকাল ট্রেন! চোখে জল আনবে বিক্রমের কাহিনি
প্রমাণ লোপাটে কার কার ভূমিকা?
এদিকে আরও এক নিরাপত্তারক্ষীর মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তিনি ডিউটি শেষ হওয়ার অনেক পর রাত ৮টা ২৫ পর্যন্ত কলেজে (Kasba Law College) ছিলেন। তার ফোন রেকর্ডও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ১৮ জনকে জেরা করা হয়েছে। মনোজিৎ, জায়েব, প্রমিতের বারবার বয়ান বদল তদন্তে বাধা দিচ্ছে বলে জানিয়েছে সূত্র। বিভ্রান্তি কাটাতে এবার মুখোমুখি বসিয়ে টানা জেরা চলছে।