বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আর জি কর (RG kar) মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রীর মৃত্যুর এক বছর পেরিয়ে গেলেও শান্তি নেই পরিবারে। বিচার চাইতে গিয়ে এখন তদন্ত নিয়েই বড় প্রশ্ন তুলছেন নির্যাতিতার মা-বাবা। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্য পুলিশ তো বটেই, কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআইও (CBI) ঘটনা ধামাচাপা দিচ্ছে। ফাঁকফোকরে ভর্তি চার্জশিট, হেফাজতে না নেওয়া অভিযুক্তরা এবং চেষ্টামেডিসিন বিভাগের ‘সেই’ দেওয়াল ভাঙার নেপথ্য ঘিরে নতুন করে ক্ষোভ ছড়িয়েছে।
গত বছর অগাস্টে মৃত্যু হলেও, এখনও ন্যায়ের মুখ দেখেননি বলে দাবি নির্যাতিতার পরিবারের। তাঁদের অভিযোগ, সিবিআই তদন্তের (CBI Invetigetion) নামে শুধু দায় ঝেড়ে ফেলছে। নির্যাতিতার মা বলেন, “ময়নাতদন্তে সময় লেখা থাকলেও, সেই সময় ওর সঙ্গে কে ছিল জানা গেল না! কোনও জেরা, কোনও হেফাজত নেই।” নির্যাতিতার বাবা আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেন, “চার্জশিটে বড় বড় নাম থাকলেও, তদন্তে কিছুই নেই। আমরা বিচার চেয়েছিলাম, ওরা এক অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করিয়ে দায় সারল।”
স্নিফার ডগ প্রমাণ মোছার জন্যই আনা হয়েছিল মেডিক্যাল কলেজে (RG kar)
মায়ের দাবি, পুলিশ এবং সিবিআই—দুই পক্ষই ঘটনাস্থল থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লোপাট করেছে। তিনি বলেন, “স্নিফার ডগ আনা হলেও, তা তদন্তের জন্য নয়, প্রমাণ মুছে ফেলার জন্য। আমাদের ভিতরে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি। দেওয়াল ভাঙার দিন চেস্ট মেডিসিনের সব অধ্যাপক সই করেছিলেন, কারণ খুনিরা সেই বিভাগেই রয়েছে এখনও।”
আরও পড়ুনঃ গুলির হুমকি… কসবা ধর্ষণকাণ্ডে উঠে এলো আরো একজনের নাম, বিস্তারিত জানুন
অভিযোগের তির মোদী-অমিত শাহের দিকেও
পরিবারের বক্তব্য, তাঁরা বারবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বিষয়টি জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতরে চিঠিও পাঠিয়েছেন। কিন্তু কোনও সদুত্তর মেলেনি। এখন শুধু আন্দোলনের উপরেই ভরসা। ৯ অগাস্ট নবান্ন অভিযান, ১৪ অগাস্ট ‘রাত দখল’-এর ডাক দেওয়া হয়েছে। পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীও।
পরিবারের ধারণা, সিবিআই (CBI) তথ্য জানে, কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তা প্রকাশ করছে না। বাবার কথায়, “সিবিআই (CBI) আমাদের কথা শুনতেই চায় না। জবাব চাইলেই চুপ করে যায়। অথচ ওরাই ভারতের প্রথম সারির সংস্থা।” তাঁদের প্রশ্ন, সত্যিটা জানে যখন, তখন লোকদেখানো তদন্ত কেন? এর পিছনে কি কোনও চাপ বা ষড়যন্ত্র আছে?