বাংলাহান্ট ডেস্ক : মোবাইলে চলছে গান। খুদে কয়েকজন ছাত্রীর সঙ্গে নাচছেন প্রধানশিক্ষক (Head Teacher)। শার্টের বোতাম খোলা, অপ্রকৃতিস্থ অবস্থা। স্থান, স্কুলের ক্লাসরুম। এই ভিডিও ছড়াতেই শোরগোল ছত্তিশগড়ের এক প্রাইমারি স্কুলে। মত্ত অবস্থায় ক্লাসের মধ্যেই খুদে পড়ুয়াদের (Head Teacher) সঙ্গে নাচার অভিযোগ উঠেছে স্কুলেরই প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে অভিভাবকদের মধ্যে।
মত্ত অবস্থায় ক্লাসরুমে ছাত্রীদের সঙ্গে নাচ প্রধান শিক্ষকের (Head Teacher)
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিশগড়ের বলরামপুর জেলার পশুপতিপুর প্রাইমারি স্কুলে। ভিডিওতে ছাত্রীদের সঙ্গে নৃত্যরত ব্যক্তি ওই স্কুলেরই প্রধানশিক্ষক (Head Teacher) বলে জানা গিয়েছে। তাঁর নাম লক্ষ্মীনারায়ণ সিং। অভিযোগ, স্কুল চলাকালীন ক্লাসের মধ্যেই নিজের মোবাইল ফোনে গান চালিয়ে নাচতে শুরু করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে নাচতে বলেন খুদে ছাত্রীদেরও।
ভিডিও ভাইরাল হতেই শোরগোল: স্কুলেরই আরেক কর্মী ভিডিওটি রেকর্ড করেছিলেন বলে খবর। সেটি শেয়ার করতেই হুলুস্থুল কাণ্ড। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়তেই নড়েচড়ে বসে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এদিকে ওই ঘটনার পরেই স্কুলের কয়েকজন পড়ুয়াও মুখ খোলে প্রধানশিক্ষকের (Head Teacher) বিরুদ্ধে। তাদের অভিযোগ, নিয়মিত মদ্যপান করে স্কুলে আসেন ওই শিক্ষক। এমনকি কোনো কারণ ছাড়াই তাদের বকাঝকা, মারধোরও করেন ওই শিক্ষক (Head Teacher)।
जिला @BalrampurDist के वाड्रफनगर स्थित पशुपतिपुर प्राथमिक शाला में एक बेहद शर्मनाक दृश्य सामने आया है, जहां शिक्षक लक्ष्मीनारायण सिंह शराब के नशे में बच्चियों के साथ डांस करता दिखा। मोबाइल में गाना बजाकर डांस करना और बच्चों पर नशे में मारपीट करने के आरोप गंभीर चिंता का विषय है।… pic.twitter.com/LSc9Xgwiys
— Jaydas Manikpuri (@JayManikpuri2) July 3, 2025
আরো পড়ুন : অবসরগ্রহণের পর ৬ মাস পার, এখনো বাংলো ছাড়ার নামগন্ধ নেই চন্দ্রচূড়ের, এবার কেন্দ্রকে চিঠি শীর্ষ আদালতের
কড়া অ্যাকশন শিক্ষকের বিরুদ্ধে: অভিযোগের পরেই পদক্ষেপ নেন জেলা শিক্ষা আধিকারিক। ওই ভিডিও এবং পড়ুয়াদের অভিযোগের ভিত্তিতে সাসপেন্ড করা হয় প্রধানশিক্ষককে (Head Teacher)। পাশাপাশি এ বিষয়ে একটি রিপোর্টও জমা করেন ব্লক শিক্ষা আধিকারিক। তারপরেই ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নেওয়া হয় অ্যাকশন।
আরো পড়ুন : ঘুরে গিয়েছেন ঋষি সুনক থেকে জেডি ভান্স, বিশ্বনেতাদের অন্যতম প্রিয় স্থান, ভারতের এই মন্দিরটি চেনেন?
স্থানীয় বিধায়ক এই ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ দাবি করেছেন। তিনি বলেন, এই ধরণের শিক্ষকদের স্কুলে রখা উচিত নয়। এতে শুধু শিক্ষার ক্ষতি হয় না, পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।