বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২৪ সালের নভেম্বরে অবসর নিয়েছেন দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। কিন্তু সেই অবসরের পরও তিনি এখনও সরকারি বাসভবনেই রয়েছেন। এই দীর্ঘস্থায়ী থাকার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) নিজেই সম্প্রতি কেন্দ্রকে চিঠি পাঠিয়েছে, জানিয়েছে—শীঘ্রই বাড়িটি খালি করতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে অবশেষে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)।
চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud) জানিয়েছেন, তাঁর দুই দত্তক কন্যা (Adopted daughters) বিশেষভাবে সক্ষম (Specially-abled)। তাঁদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ রকমের ঘর দরকার, যার মধ্যে বড় মেয়ের জন্য একটি ‘আইসিইউ’র মতো ঘর তৈরি করা হয়েছিল কৃষ্ণ মেনন মার্গের ওই বাংলোতেই (Krishna Menon Marg)। ফলে এমন আবাসন খুঁজে বের করা এবং সেটিকে মানানসই করে তোলা বেশ কঠিন হয়ে উঠেছিল। সেই কারণেই তিনি সরকারি বিকল্প চেয়েছেন এবং জানান, সেই অস্থায়ী বাসস্থান তৈরি হলেই তিনি সপরিবারে স্থানান্তরিত হবেন।
সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) অনুমতিতে ছিলেন এপ্রিল পর্যন্ত
প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না (Sanjiv Khanna) তাঁকে প্রথমে এপ্রিল পর্যন্ত থাকার অনুমতি দেন। পরে আরও এক মাস বাড়িয়ে মে পর্যন্ত থাকার মৌখিক অনুরোধ করেন চন্দ্রচূড়। তবে সেই সময়সীমাও পেরিয়ে গিয়েছে। এখন চন্দ্রচূড় জানাচ্ছেন, তাঁদের সমস্ত মালপত্র গোছানো হয়ে গিয়েছে। শুধু নতুন বাসভবনের কাজ শেষ হলেই তাঁরা চলে যাবেন।
সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) চিঠিতে কড়া বার্তা
শীর্ষ আদালত (Supreme Court) জানায়, চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud) নিজেই বিচারপতি খন্নাকে চিঠি লিখে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত থাকার অনুমতি চেয়েছিলেন। সরকার তাঁকে তুঘলক রোডের (Tughlaq Road) ১৪ নম্বর বাংলো বরাদ্দ করলেও, দূষণজনিত বিধিনিষেধে সেই বাংলোর সংস্কার থমকে ছিল। তবে আদালত স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, বাড়ি খালি করতে হবে দ্রুত।
আরও পড়ুনঃ রেলওয়েতে চাকরির সুবর্ণ সুযোগ, শীঘ্রই শুরু রেজিস্ট্রেশন, কারা করতে পারবেন আবেদন?
চন্দ্রচূড়ের দাবি, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে থেকে যাচ্ছেন না, বরং অসুবিধাজনক পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে গিয়েছেন। তবে সমালোচকরা বলছেন, নিয়ম না মেনে প্রধান বিচারপতির বাসভবন দখল করে রাখা একেবারেই শোভন নয়। এই বিতর্কে শাসক-বিরোধী রাজনীতিও ইতিমধ্যেই উত্তাল হতে শুরু করেছে।