বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কসবাকাণ্ডের পর ‘দাদা’ সংস্কৃতি নিয়ে মুখ খুলে ফের বিতর্কের কেন্দ্রে রাজন্যা হালদার (Rajanya Haldar)। সংবাদমাধ্যমে বক্তব্য রাখতে গিয়ে চোখের জলে ভেসেছেন তিনি। কিন্তু তাতে দমে যাওয়ার জায়গায় রাজন্যাকে আরও তীব্র আক্রমণ করেছে শাসকদল। এবার সরাসরি রাজন্যার বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ভ্রাতৃবধূ জুঁই বিশ্বাস (Jui Biswas)। অভিযোগ, রাজন্যা (Rajanya Haldar) কোনও যোগ্যতাই রাখেন না, না নেতৃত্বে, না অভিনয়ে।
রাজন্যার (Rajanya Haldar) কাঁদা সাক্ষাৎকারের পরেও আক্রমণ জারি
গত রবিবার কসবাকাণ্ড (Kasba Case) নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন রাজন্যা। অভিযোগ করেন, AI প্রযুক্তি দিয়ে তাঁর নগ্ন ছবি ছড়ানো হয়েছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (Trinamool Congress) নেতা-কর্মীদের তরফে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ভয় পেয়েছিলাম, একা লড়তে পারিনি। কিন্তু এখন আর চুপ করে থাকতে পারছি না।” এই সাক্ষাৎকার ভাইরাল (viral) হওয়ার পরই পাল্টা প্রশ্ন তুলে সরব হন ফিরহাদ হাকিম ও অতীন ঘোষের কন্যারা। প্রশ্ন ওঠে, “যিনি নিজেকে রক্ষা করতে পারেন না, তিনি নেতা কীভাবে?”
সোমবার সামনে আসেন তৃণমূল নেত্রী জুঁই বিশ্বাস। সাফ বলেন, “রাজন্যা এতদিন চুপ করে ছিলেন কেন? যৌন হেনস্থার অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তাহলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের দ্বারস্থ হতে পারতেন। নেত্রী হতে গেলে দায়িত্ববোধ লাগে। নিজেকেই যদি রক্ষা করতে না পারেন, তাহলে বাকিদের কীভাবে রক্ষা করবেন?” তাঁর কটাক্ষ, ‘কোভিড কিংবা বন্যার সময় এই মুখ দেখা যায় না, শুধু ক্যামেরার সামনে নাটক করতে আসে।’
“না নেত্রী, না অভিনেত্রী”—রাজন্যাকে (Rajanya Haldar) কার্যত ছিঁড়ে ফেললেন জুঁই
জুঁই বিশ্বাসের ভাষায়, “যোগ্যতা বিচারের জন্যও যোগ্যতা দরকার। রাজন্যার কোনও রাজনৈতিক পটভূমি নেই, হঠাৎ দু’দিনের মধ্যে কীভাবে নেতা হয়ে গেলেন? যাঁরা ওঁকে মাথায় তুলেছেন, তাঁদেরও বিচার করা উচিত।” এই মন্তব্য থেকে স্পষ্ট, রাজন্যার ঘুরে দাঁড়ানো দলের অন্দরেই শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
উল্লেখ্য, তৃণমূল (Trinamool Congress) তাঁকে বহিষ্কার করলেও রাজন্যা (Rajanya Haldar) এখনও দলত্যাগ করেননি। বরং স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, এখনও তিনি তৃণমূলের আদর্শে বিশ্বাসী। কিন্তু তাতেও বরফ গলেনি। দলের অন্দরেই তাঁকে নিয়ে ক্ষোভ বেড়েই চলেছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজন্যা (Rajanya Haldar) যদি প্রকাশ্যে সরব হতে থাকেন, তাহলে ভবিষ্যতে আরও বড় সংঘাত তৈরি হতে পারে তৃণমূলের অন্দরে।