বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের ইউনিয়ন রুম যেন রাতে রূপ নেয় এক অন্য রঙিন জগতে। সন্ধ্যা নামলেই নাকি সেখানে জমে ওঠে মদের আসর, কলেজের প্রাক্তন জিএস তথা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (Trinamool Congress ) নেতা গৌরব দত্ত মুস্তাফির নেতৃত্বে। এমনই বিস্ফোরক দাবি উঠেছে কলেজের অন্দর থেকে। মদ্যপান, পার্টি, উচ্চস্বরে গান—আর সেই দৃশ্যের কিছু অংশ এবার উঠে এসেছে (video) ফুটেজে।
কলেজের একাধিক পড়ুয়ার অভিযোগ, সন্ধ্যার পর কলেজের ইউনিয়ন রুম হয়ে উঠত গৌরবের ‘ব্যক্তিগত ঠেক’। এসি-ঘর হওয়ায় সেখানেই নাকি অনুগামীদের নিয়ে চলত আড্ডা, মদ্যপান আর রাতভর পার্টি। কেউ প্রতিবাদ করলেই নাকি তাকে হুমকি দেওয়া হত। বছর কয়েক আগে এই ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে এক অধ্যাপককে চড় মারার অভিযোগও উঠেছিল। সে সময় কলেজ প্রশাসন তাকে দু’বছরের জন্য বহিষ্কার করেছিল, যা পরে আদালতে গড়ায়। তা সত্ত্বেও ফের (student politics) -এর ছত্রছায়ায় ফিরে এসে কলেজে পুনরায় শুরু হয় তার ‘দৌরাত্ম্য’।
অভিযোগ মানতে নারাজ গৌরব, উলটে দাবি চক্রান্তের
অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে গৌরব দত্ত মুস্তাফি সমস্ত অভিযোগ খণ্ডন করে বলেন, “ইউনিয়ন রুমে এসি থাকায় অনেক সময় অধ্যাপকরাও সেখানে বসতেন। কোনও পার্টি বা মদের আসর হয়নি। এটা পরিকল্পিতভাবে আমাকে হেনস্থা করার চেষ্টা।” তাঁর দাবি, যারা অভিযোগ করছে, তাদের কোনও প্রমাণ নেই, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে (character assassination) করা হচ্ছে।
পরপর বিতর্কিত ঘটনার তালিকায় আরেক সরকারি কলেজ
বালুরঘাট, কসবার (Kasba Law College) পর এবার রাজাবাজার কলেজ। নামী সরকারি কলেজগুলিতে একের পর এক (TMCP controversy) সামনে আসায় উদ্বিগ্ন সাধারণ অভিভাবক মহল। ছাত্র রাজনীতির নামে দিনের পর দিন কীভাবে সরকারি সম্পত্তি, পড়াশোনা আর শৃঙ্খলা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, উঠছে সেই প্রশ্নও। শিক্ষামহলের একাংশ মনে করছেন, সময় এসেছে শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতির লাগাম টানার।
আরও পড়ুনঃ ‘নিজেকে রক্ষা করতে না পারলে নেতা হবেন কী করে?’ AI ছবি বিতর্ক ঘিরে ফের কাঠগড়ায় রাজন্যা
ভিডিও ভাইরাল হতেই তৃণমূল (Trinamool Congress ) অস্বস্তিতে
এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য শাসকদল (Trinamool Congress )। কলেজ প্রশাসনের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে শিক্ষামন্ত্রী বা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে কী প্রতিক্রিয়া আসে, তা এখন দেখার।