Ekchokho.com 🇮🇳

আর মাত্র ৫ বছরের মধ্যেই শুকিয়ে যাবে গোটা শহর! ভয়াবহ বিপদের আশঙ্কা আন্তর্জাতিক রিপোর্টে

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : আর মাত্র ৫ বছর। তার মধ্যেই ‘উধাও’ হয়ে যেতে পারে জলস্তর। জলশূন্য (Water Crisis) হয়ে পড়তে পারে লক্ষ লক্ষ মানুষ। ইতিমধ্যেই শুকিয়ে গিয়েছে বহু বোরওয়েল। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আরও নেমে যেতে পারে জলস্তর। আর তেমনটা ঘটলে জল না পেয়ে শুকিয়ে যেতে পারে একটা গোটা শহর! সম্প্রতি এমনই ভয়ঙ্কর আশঙ্কার কথা জানাল আন্তর্জাতিক সংস্থা মার্সি কর্পস।

ভয়াবহ জল সঙ্কটের (Water Crisis) মুখে এই শহর

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল (Kabul)। প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষের বাসস্থান এই শহরের উপরেই ঘনাচ্ছে ঘোর বিপদের কালো মেঘ। ওই আন্তর্জাতিক সংস্থা ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, গত এক দশকে কাবুলে জলস্তর (Water Crisis) নেমে গিয়েছে ২৫ থেকে ৩০ মিটার পর্যন্ত। প্রতিবছরই ৪৪ মিলিয়ন ঘনমিটার জল তোলা হয় এই শহরে। তা প্রাকৃতিক নিয়মে পূরণও হতে পারে না। আর তার জেরেই ঘনিয়ে এসেছে বিপদ। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, এই প্রবণতা চলতে থাকলে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যেই শুকিয়ে যেতে পারে কাবুল শহর।

This city is facing severe water crisis

দ্রুত নামছে জলস্তর: ইউনিসেফের থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, কাবুলের প্রায় অর্ধেক বোরওয়েল শুকিয়ে গিয়েছে। অধিকাংশ বোরওয়েলে এখন যা জল উঠছে তা অতিরিক্ত নোনা, জীবাণু, ক্ষতিকারক আর্সেনিকে দূষিত। কিন্তু শহরের ধনী পরিবারগুলি আরও গভীর বোরওয়েল খুঁড়তে পারলেও বিপাকে পড়েছে দরিদ্র পরিবারগুলি। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে হাহাকার পড়ে যাবে শহরে। কিন্তু এমন অবস্থা হল কী করে কাবুলের?

আরও পড়ুন : দুটি ছবিতেই মালামাল, পর্দায় ‘রাম’ হয়ে উঠতে কত পারিশ্রমিক হাঁকালেন রণবীর?

কেন এই পরিস্থিতি: আসলে ৫০০-র ও বেশি সফট ড্রিঙ্ক এবং বোতলজাত পানীয় জলের সংস্থা কাজ করে কাবুলে, যারা প্রচুর জল ব্যবহার করে থাকে। এদিকে বিগত কয়েক বছরে আফগানিস্তানে বৃষ্টির হার কমেছে উল্লেখযোগ্য ভাবে। রিপোর্ট বলছে, ২০২৩ এর অক্টোবর থেকে ২০২৪ এর জানুয়ারির মধ্যে আফগানিস্তানে গড় বৃষ্টিপাত হয়েছে স্বাভাবিকের মাত্র ৪৫-৬০ শতাংশ। উপরন্তু রাজনৈতিক পরিস্থিতিও এই সঙ্কট (Water Crisis) ডেকে আনার পেছনে অনেকাংশে দায়ী। আন্তর্জাতিক সহায়তা না মেলায় জলাধার, পাইপলাইন, বাঁধ সংস্কারের মতো প্রকল্পগুলির কাজ আটকে রয়েছে। ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে শাহতুত বাঁধ তৈরির পরিকল্পনাও করেছিল আফগানিস্তান, যা বহু মানুষের জলের সমস্যা (Water Crisis) মেটাতে পারত কাবুলে। কিন্তু তার কাজও আপাতত থমকে।

আরও পড়ুন : মুকুটে জুড়ল নতুন পালক, আন্তর্জাতিক তারকাদের টপকে বড় সাফল্য অরিজিতের!

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে কাবুলকে রক্ষা করতে হলে আধুনিক, পাইপলাইন, চেক ড্যাম, জলাশয় নির্মাণ করতে হবে। বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করতে হবে এবং ভূগর্ভস্থ জল কৃত্রিমভাবে ভরাট করার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। তবে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, প্রযুক্তি না পেলে এই সমস্ত প্রকল্পের বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। নয়তো কাবুলের ধ্বংস হওয়া এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা।