বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এত কাঠখড় পুড়িয়েও বকেয়া ডিএ-র (Dearness Allowance) অংশ না মেলায় ক্ষুব্ধ রাজ্য সরকারি কর্মীরা। সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া সময়সীমা শেষ হলেও পঞ্চম পে কমিশনের বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ দেয়নি রাজ্য সরকার। এই নিয়ে যখন ক্রমাগত ক্ষোভ বাড়ছে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে, সেই সময়ই সরকারি কর্মীদের কড়া হুঁশিয়ারি রাজ্য সরকারের। জারি নয়া ফতোয়া।
বকেয়া DA-র আবহেই নয়া ফতোয়া জারি | Dearness Allowance
রাজ্য জানিয়েছে, আগামী বুধবার (৯ জুলাই) যে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে, সেদিন সরকারি কর্মচারীদের অফিসে হাজিরা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। কোনো কর্মী অনুপস্থিত থাকলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। উল্লেখ্য, আগামীকাল সর্বভারতীয় ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি। সেই বনধে যোগ দিচ্ছে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনগুলিও। কিন্তু সর্বভারতীয় ধর্মঘট হলেও খোলা থাকছে রাজ্য সরকারের (Nabanna) সমস্ত দফতর। তাই বাধ্যতামূলক ভাবে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারি কর্মীদের।
নবান্নের অডিট ব্রাঞ্চ থেকে নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, ৯ ই জুলাই কোনো ভাবেই কোনো ‘ক্যাজুয়াল লিভ’ বা অন্য কোনো ছুটি নেওয়া যাবে না। ওই দিন ছুটি নিলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে কর্মীদের বিরুদ্ধে। কেউ অনুপস্থিত থাকলে তাকে ‘ভাইস-নন’ হিসেবে গণ্য করা হবে। একইসাথে কাটা যাবে বেতন।
বিজ্ঞপ্তিতে (Nabanna) আরও বলা হয়েছে, বনধের দিন কোনো কর্মী অনুপস্থিত থাকলে তাঁকে শোকজ নোটিশ পাঠানো হবে। কেউ ছুটি নিলে ছুটির কারণ সঠিক ভাবে দর্শাতে না পারলে বা যথাযথ নথি না দিলে ছুটি মঞ্জুর করা হবে না। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে। যদিও ওই বিজ্ঞপ্তিতে কিছু ক্ষেত্রে ছাড়ের কথাও বলা হয়েছে।
বলা হয়েছে, রাজ্য সরকারি কর্মচারী যারা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, অথবা তাদের পরিবারের কেউ মারা গিয়েছেন। আবার গুরুতর অসুস্থতার জন্য ৮ জুলাইয়ের আগে থেকেই ছুটিতে থাকা কর্মচারী সহ, ৮ জুলাইয়ের আগেই মঞ্জুর হওয়া চাইল্ড কেয়ার লিভ, মাতৃত্বকালীন ছুটি, মেডিক্যাল লিভ এবং আর্নড লিভ নেওয়া কর্মচারীরা এই বিজ্ঞপ্তির আওতায় আসবেন না।
আরও পড়ুন: ‘রাখে হরি মারে কে’… হিমাচলে ভয়াবহ হড়পাবানে ভেসে গেল গোটা পরিবার, বেঁচে রইল কেবল ১১ মাসের একরত্তি
নবান্নের জারি করা বিজ্ঞপ্তি নিয়ে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, ‘যথারীতি কর্মচারীদের ভয় দেখানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে।’ রাজ্য সরকারি কর্মচারী, চুক্তিভিত্তিক কর্মী সহ যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের সমর্থনে তারা এই ধর্মঘটকে পূর্ণ সমর্থন করেছেন বলেও জানিয়েছেন। একদিকে যখন ডিএ নিয়ে ‘অশান্তি’, সেই আবহেই রাজ্যের জারি করা ফতোয়া যেন সরকারি কর্মীদের ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢালার সামিল হল।