বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কসবাকাণ্ডের আবহে ফের একবার রাজ্য রাজনীতিতে নারকীয় বিতর্ক। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সোনারপুর কলেজের ইউনিয়ন রুমে এক ছাত্রীকে দিয়ে শরীর ম্যাসাজ করাচ্ছেন তৃণমূলের (Trinamool Congress) এক যুবনেতা। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি হলেন যুব তৃণমূল নেতা প্রতীক কুমার দে। ভিডিও ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
দলের (Trinamool Congeess)ভিতর থেকেই বিস্ফোরক অভিযোগ
এই ভিডিওকে ঘিরে তৃণমূলের (Trinamool Congress) কাউন্সিলর পাপিয়া হালদার নিজেই দলীয় ফোরামে অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, ভিডিওটি নতুন নয়, দেড় বছর আগে থেকেই তিনি দলীয় নেতৃত্বকে বিষয়টি জানিয়ে এসেছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনও সুরাহা হয়নি, উলটে অভিযুক্ত নেতার দলে পদোন্নতি হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর। পাপিয়ার কথায়, “একজন ছাত্রনেতা যদি এমন কাজ করেন, তাতে দলের মুখ পুড়ছে।”
AI ভিডিও নাকি সত্যিকারের ঘটনা?
অভিযুক্ত যুবনেতা প্রতীক কুমার দে অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য, “এই ভিডিওটি AI দিয়ে বানানো, আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এই কাণ্ড।” যদিও যাঁরা ভিডিওটি দেখেছেন, তাঁদের একাংশ বলছেন—চেহারা, পোশাক, অবস্থান অনেকটাই মিলে যাচ্ছে। ফলে প্রশ্ন উঠছে, সত্যিই কি AI? নাকি সত্যি ঘটনা ঢাকতে প্রযুক্তির অজুহাত?
সম্প্রতি কসবাকাণ্ডে ছাত্রীর উপর গণধর্ষণের অভিযোগে রাজ্য জুড়ে যখন তোলপাড়, ঠিক তখনই নতুন এই (viral video) দলকে আরও অস্বস্তিতে ফেলেছে। তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতৃত্ব মুখে ‘মহিলা নিরাপত্তা’র কথা বললেও, একের পর এক নারী-নিগ্রহ বা অবমাননার অভিযোগ সামনে আসছে। দলীয় নেতৃত্ব এই অভিযোগে কী ব্যবস্থা নেয়, তা-ই এখন দেখার।
আরও পড়ুনঃ ‘প্রায়োরিটি একটাই, তৃণমূলের বিসর্জন’, বাংলায় BJP-র মুখ কে? উত্তর দিলেন শমীক
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই, দলের (Trinamool Congress) একাংশও চাইছেন তদন্ত হোক। বিরোধীরা ইতিমধ্যেই সোচ্চার হয়েছেন। যদিও তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব এখনো প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে দলের অন্দরমহলে চাপ বাড়ছে—একদিকে AI ভিডিওর দাবি, অন্যদিকে দলের কাউন্সিলরের বিস্ফোরক অভিযোগ। সব মিলিয়ে সোনারপুর কান্ডে রাজনীতির (Political Violence) পারদ ক্রমেই চড়ছে।